গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেললেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একেবারেই ভাল খেলতে পারলেন না টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। শুভমন গিল শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। আউটও হয়েছেন দ্রুত। ব্যর্থ হয়েছেন শ্রেয়স আইয়ারও। তবে সবচেয়ে হতাশ করেছেন সূর্যকুমার যাদব।
সূর্যকুমারকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়েছিল শেষের দিকে রানের গতি বাড়ানোর জন্য। ফাইনালেই ব্যর্থ হলেন তিনি। ভারতের রান তিনি থাকলে ২৫০ পেরিয়ে যেতে পারত। সেটাও হোল না বাজে সময় আউট হওয়ায়। তবে তাঁর থেকে যা প্রত্যাশিত তা পেলে টিম ইন্ডিয়ার রান ২৮০-তে পৌঁছে যেতে পারত। ভারতের রান যখন ৩৫.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ তখন ব্যাট করতে নামেন সূর্য। হাতে যথেষ্ট সময় ছিল। উল্টোদিকে ছিলেন সেট হওয়া কেএল রাহুল। ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার আউট হওয়ার পর, সূর্যের কাঁধে দায়িত্ব ছিল ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
তবে কী হল? নীচের দিকের ব্যাটারদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে বারেবারে শামি বুমরাদেরই স্ট্রাইকে পাঠিয়ে দিতে থাকেন সূর্য। অথচ, হওয়ার কথা ছিল উল্টো। বেশি স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখে বড় শট খেলার চেষ্টা করতে পারলে ভারতের রান আরও একটু বেশি হতে পারত। তা হলে বল করতে নেমে ভারতের বোলাররা আরও একটু সুযোগ পেতে পারতেন।
শুধু তাই নয়, যখন মারার সুযোগ পেলেন খালি পিছনের দিকে খেলার চেষ্টা করলেন। রান হল না, বলটা নষ্ট হল। সূর্যকুমার ঠিক এমনটাই টি-টোয়েন্টিতে করে থাকেন। কিন্তু আহমদাবাদের যে পিচে খেলা হচ্ছে, তা বেশ স্লো। তার উপরে, অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা একের পর এক কাটার করে যাচ্ছিলেন। ফলে বলে গতি আরও কমে যাচ্ছিল। সেই কারণে নিজের পছন্দের শট খেলতে পারছিলেন না সূর্য। কিন্তু তবুও সেটাই চেষ্টা করে যেতে থাকেন তিনি। আর আউটও হলেন এভাবেই। ২৮ বলে মাত্র ১৮ রান করেই আউট সূর্য। তিনি ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে এসেছিলেন তা পরিষ্কার হল না।