১২ ম্যাচে ৪টে জয়ও সাতটা হার। তবুও প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণভাবে টিকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অস্কার ব্রুজোর (Oscar Bruzon)হাতে পড়ে বদলে গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসিকে (Roundglass Punjab FC) ৪-২ গোলে হারানোর পর, খালিদ জামিলের (Khalid Jamil) জামশেদপুর এফসি-র (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধেও জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে ১০ নম্বরে উঠে আসা ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের স্বপ্ন অনেকটাই উজ্জ্বল।
কীভাবে প্লে অফে যেতে পারে ইস্টবেঙ্গল?
অস্কার, নর্থইস্ট ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন প্লে অফে যাওয়া সম্ভব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অস্কার নিজের ফর্মুলা দেন। তাঁর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দলের ১৮ ম্যাচ বাকি থাকতে থাকতেই তিনি যে বলেছিলেন ১০ ম্যাচে জিততে পারলেই সুপার সিক্সে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গল। এখনও ১২ ম্যাচ বাকি তাদের। এর মধ্যে তাঁরা জিতেছেন তিনটি ম্যাচ। অর্থাৎ আর ৫টি জিততে পারলেই প্লে অফে পৌঁছে যেতে পারে ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে লিগের তলানিতে থাকা মহমেডানের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ আর হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ। ফিরতি ডার্বিও আছে ১১ জানুয়ারি।
পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি
জামশেদপুর ম্যাচ জেতার পরেও নিজে না, কৃতিত্ব দিতে চাইছেন দলের ফুটবলারদেরই। ম্যাচ শেষে অস্কার বলেন, 'সমর্থকেরা কোচ কে এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিতে চাইলেও আমি বলবো এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শুধুই আমার প্লেয়ারদের। ওদের পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাসের জন্যই দলের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। আমার সৌভাগ্য যে মরশুমের মাঝখানে এসেও ওদের আমি সাহায্য করতে পেরেছি এবং ওরাও নিজেদের উন্নত করে তুলতে পেরেছে।'
নন্দা সফল হবেই
একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও, নন্দাকুমারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন অস্কার। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, 'গোল মিস করতে গেলেও গোলের কাছে পৌঁছতে হয়। নন্দ কিন্তু সমানে চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে দিন ওর ভাগ্য ওর সঙ্গ দেবে, সে দিন ও সফলও হবে। আমি ওর প্রশংসাই করব, ওকে উৎসাহ জোগাব। নন্দ আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং এটা ঠিকই যে, ওকে এখনও উন্নতি করতে হবে।'