চরম আর্থিক অনটন। স্টেডিয়াম থেকে একসঙ্গে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরে। গাদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি জেনারেটরের ব্যাটারিও। পাশাপাশি গাদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে চুরি হয়েছে আরও অন্যন্য জিনিসও। আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা নয়, ক্যামেরার জন্য প্রয়োজনীয় তার, জেনারেটরের ব্যাটারি সহ আরও নানা মূল্যবান জিনিস খোয়া গিয়েছে। স্থানীয় গুলবার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে পাকিস্তান সুপার লিগ আয়োজন করেছিল পাক ক্রিকেট বোর্ড। তবে মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব কাদের তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে পাক প্রশাসন ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে।
আরও পড়ুন: শ্যাম্পেনের ফোয়ারা; তুমুল নাচ, আবারও বিশ্বসেরা হয়ে সেলিব্রেশন অস্ট্রেলিয়ার
জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেক টাকা দিয়েছিল পঞ্জাব সরকার। বাকি টাকা মেটানোর কথা ছিল পাক বোর্ডের। তবে সেই টাকাও দিতে রাজি হয়নি বোর্ড। আর এই চাপানউতরের মাঝেই চোর ধরতে ব্যবহার করা সিসিটিভিই চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন: IPL-এ খেলছেন না বুমরা? বড় ধাক্কার সম্ভাবনা মুম্বইয়ের
গোটা পাকিস্তান জুড়েই এখন বিদ্যুতের সঙ্কট। ফলে জেনারেটরের ব্যাটারির দামও আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে চুরি হওয়া সামগ্রীর দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে চোরদের পালাতে দেখা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও এখনও অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি। গাদ্দাফি থেকে পিএসএল-এর ম্যাচ সরিয়েও নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি তেলের সঙ্কট পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার আরও অবনতি করেছে। অনেকেই মনে করছেন ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার মত অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে পাকিস্তান। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যবৃদ্ধিও। ফলে গোটা দেশে অপরাধও বাড়ছে।