ফুটবলের ইতিহাসে ১৯১১ সালে প্রথম জার্সির পেছনে নম্বর লাগানো হয়। অস্ট্রেলিয়ায় সেদিনটির খেলা হয়েছিল সিডনি লেইছার্ড আর এইচএমএস পাওয়ারফুলের মধ্যে। পরের ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনা ১৯২৩ সালে, আর তার পরের বছর, ১৯২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা নম্বর লেখা জার্সি গায়ে দিয়ে খেলতে নামে।
তবে আধুনিক ফুটবলের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ডের খেলোয়াররা নম্বর গায়ে চড়ান আরো চার বছর পর, মানে ১৯২৮ সালে। খেলোয়াড়দেরও সুবিধা হলো নম্বর পেয়ে, বল এগিয়ে দেওয়ার সময় তারা কেবল নম্বর দেখেই বুঝতে পারেন কোথায় কে আছেন। সুবিধা হলো খেলার দর্শক আর ভক্তদেরও। খেলোয়াড়দের চিনতে তাদের সময় লাগল কম।
জার্সির গায়ে নম্বর বসার অনেক আগে থেকেই অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনটি ছিল আকর্ষনীয়। ওই অবস্থানে যে খেলে সে অধিক সৃজনশীল হওয়ার সুযোগ পায়। বর্তমান বিশ্বের তেমন একজন অ্যাটাকিং বা ফরোয়ার্ড মিডফিল্ডার লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার আরেক ফুটবল কিংবদন্তী মারাদোনাও ছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তাদের দুজনেরই জার্সি নম্বর ১০।
তবে ১০ নম্বর জার্সিকে প্রথম গৌরবের আসনে বসিয়েছেন ব্রাজিলের পেলে। আর কেবল পেলে-ম্যারাডোনা-মেসি নয়, ১০ নম্বরের তালিকায় আছেন মিশেল প্লাতিনি, পুসকাস, জিদান, বেজ্জিও, রোনালদিনহো, রুনি, টোট্রি, নেইমার, কৌতিনহো প্রমুখ। তাই তো এ জার্সি তাকেই দেওয়া হয়, যিনি দলের সবচেয়ে চৌকস খেলোয়াড় এবং জয় নিশ্চিত করতে অপরিহার্য বলে বিবেচিত।
এবারের বিশ্বকাপে মেসি, নেইমার ছাড়াও ফ্রান্সের এমবাপ্পে, ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচ, স্পেনের মার্কোস আসেনসিও, ক্যামেরুনের ভিনসেন্ট আবুবকর, নেদারল্যান্ডের মেমফিস ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে খেলছেন। তাই ধারণাটি ভিত্তি পাচ্ছে এই বলে যে, ১০ নম্বর জার্সিটি দলের সেরা খেলোয়াড়ের জন্যই।
তবে নাম্বার টেন ছাড়াও সেরা খেলোয়াড় কিন্তু অনেক আছে। যেমন পর্তুগালের রোনাল্ডো পরেন ৭ নম্বর জার্সি। আবার ২১ নম্বর জার্সিকে বিখ্যাত করে দিয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যাম। মেসিও আগে পরতেন ৩০ নম্বর জার্সি, পরে রোনালদিহনো বার্সেলোনা ত্যাগ করলে মেসি ১০ নম্বর জার্সি পান।
আরও পড়ুন: সমালোচকদের মুখ পুড়ছে মেসি-ম্যাজিকে, স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা, PHOTOS