২ এপ্রিল ২০১১-র ওয়াংখেড়ে আর ২০২২ এর ২৯ মে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম (Narendra Modi Stadium)। সময়ের পার্থক্য ১১ বছরের বেশি। ঘটনার পার্থক্যও অনেক। তবুও যেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে হার্দিক পান্ডিয়াদের(Hardik Pandya) আইপিএল জয়। প্রথমবার আইপিএল-এর মত বড় মঞ্চে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে গুজরাত টাইটান্স। রাজস্থান রয়্যালসকে (Rajasthan Royals) সাত উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে তারা। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জায়গায় মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে হার্দিকের আইপিএল জেতার মিল রয়েছে-
১ শুভমান গিল, যিনি বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ওবেদ ম্যাককয়ের বলে দুর্দান্ত ছক্কা দিয়ে খেলাটি শেষ করেছিলেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি ৭ নম্বর জার্সি পরেছিলেন, যে নম্বরটি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালের সময় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনি পরেছিলেন। ধোনি নুয়ান কুলাসেকেরার বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেছিলেন। গিলও তাই করেছেন।
২ টাইটান্সের মেন্টর গ্যারি কার্স্টেন তখন ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন। তাছাড়া, আশিস নেহরা, যিনি এই মেগা ইভেন্টে ভারতীয় দলের একজন এক অন্যতম ক্রিকেটার ছিলেন, তিনি এবার গুজরাতের প্রধান কোচ।
৩ ২০১১ বিশ্বকাপের মতো, কুমার সাঙ্গাকারা এবং লাসিথ মালিঙ্গা আবারও হেরে যাওয়া দলেই রয়েছেন। সেবার শ্রীলঙ্কা দলে ছিলেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার। আর এবার রাজস্থান রয়্যালসের প্রশিক্ষকের ভূমিকায় দুই জন।
আরও পড়ুন: লিডার হার্দিক-প্ল্যান নেহরার, প্রথমবারেই GT-এর সাফল্যের ৫ কারণ
মূলত এই তিন কারণেই ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে গুজরাতের এই ট্রফি জয়কে তুলনা করা হয়েছে। ম্যাচের পর দলের সঙ্গে জড়িত সকলকে এই ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, “আশিস (নেহরা), গ্যারি থেকে শুরু করে লজিস্টিক স্টাফ, এই কৃতিত্ব সকলের। এই ট্রফি জয় স্পেশাল হতে চলেছে কারণ আমরা একটি উত্তরাধিকার তৈরি করার কথা বলেছি৷ আগামী প্রজন্ম এই জয় সম্পর্কে কথা বলবে।''