scorecardresearch
 

MS Dhoni: মাত্র ৪০ টাকায় নিজের হাঁটুর ব্যথা সারাচ্ছেন ধোনি, কী ব্যাপার?

রাঁচি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে লাপুং-এর গালগালি ধামে দেশি গরুর দুধ, গাছের ছাল এবং অনেক ভেষজ থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন পর্যন্ত এখানে ৪ বার এসেছেন এবং তাঁর থেকে ওষুধ নিয়েছেন। তাঁদের বাবা-মায়ের ব্যথার ওষুধও এখান থেকেই যায়। 

Advertisement
এমএস ধোনি (বাম) এবং বৈদ্য বন্দন সিং খেরওয়ার (ডানে) এমএস ধোনি (বাম) এবং বৈদ্য বন্দন সিং খেরওয়ার (ডানে)
হাইলাইটস
  • ৪০ টাকায় হাঁটুর ব্যথা সারাচ্ছেন ধোনি
  • রাঁচির গ্রামে চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা এই ধরনের কোনও সমস্যায় পড়লে সাধারণত কোনও বড় হাসপাতালে গিএ চিকিৎসা করিয়ে থাকেন। তবে ধোনি সবসময়ই সকলের থেকে একেবারে আলাদা। তিনি কোনও বড় হাসপাতালে যান না। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির কাছে একটি গ্রামে গাছের নীচে এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান তিনি। 

বিশিষ্ট চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে বন্য ভেষজ গাছের সাহায্যে রোগীদের চিকিৎসা করেন। ওষুধের ডোজ বাবদ তিনি প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে মাত্র ২০ টাকা নেন। আর ওষুধের জন্য আরও ২০ টাকা নেন। ধোনির কাছ থেকেও একই পরিমাণ টাকা নিয়েছেন তিনি।  

রাঁচি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে লাপুং-এর গালগালি ধামে দেশি গরুর দুধ, গাছের ছাল এবং অনেক ভেষজ থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন পর্যন্ত এখানে ৪ বার এসেছেন এবং তাঁর থেকে ওষুধ নিয়েছেন। তাঁদের বাবা-মায়ের ব্যথার ওষুধও এখান থেকেই যায়। 

বৈদ্য বন্দন সিং খেরওয়ারের কাছ থেকে ওষুধ নিতে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এখানে আসেন। বলা হচ্ছে, বৈদ্যর ওষুধ খেয়ে ধোনি অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন। রোগীরা বলেন, 'বৈদ্য খেরওয়ারের ওষুধ খেলে গাঁটের ব্যথা চিরতরে সেরে যায়। বৈদ্যের ওষুধ খেয়ে আমরা অনেক তৃপ্তি পাই।' 

বৈদ্য বন্দন সিং খেরওয়ার বলেছিলেন যে, 'একজন সাধারণ রোগীর মতোই ধোনি এখানে আসেন এবং ওষুধ খান। অত বড় ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কোনো অহংকার নেই। মহেন্দ্র সিং ধোনির মধ্যে।''

আরও পড়ুন: ম্যাচের আগে পুষ্পা রাজ বিরাট, দাঁড়ি বুলিয়ে 'ঝুঁকে গা নেহি' স্টাইল, VIDEO

ধোনির এখানে আসার খবর শুনে তাঁর ভক্তরা এখানে আসছেন। যার কারণে ভিড় জমেছে, তাই এখন গ্রামে পৌঁছে গাড়িতে বসে ওষুধ খেয়ে চলে যায়। গত একমাসে গ্রামের বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। 

Advertisement

Advertisement