ইস্যুটা খুব সিরিয়াস। কিন্তু খালি একটা A-এর জায়গায় E পড়ে গেল। আর তাতেই গোটা বিষয়টা রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়াল। কারও 'Bed' পারফরম্যান্সের জন্য শাস্তি হলে তো হাসি পাবেই!
একটু খোলসা করা যাক। ঘটনাটি বিহারের। শিক্ষকদের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁদের একদিনের বেতন কেটে নেয় কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে লিখল 'Bed Performance'। দুষ্টু লোকেরা তাতেই মুচকি হাসছেন। তবে কি বিছানায় খারাপ পারফর্ম...
না না, বালাই ষাট! তেমনটা কিছুই না। আসলে বিহারের জামুইয়ের বিভিন্ন স্কুলে গত সপ্তাহে সে রাজ্যে শিক্ষা দফতর পরিদর্শক পাঠায়। তাঁর গিয়ে দেখেন, বহু স্কুলেই শিক্ষকরা অনুপস্থিত। কাজে আসেননি। আবার অনেকের পারফর্ম্যান্সও সন্তোষজনক নয় বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
এরপর সেটা নিয়ে বেশ কড়া একটি রিপোর্ট বানান জেলা শিক্ষা আধিকারিক(DEO)। তাতে ১৬ জন শিক্ষকের একদিনের মাইনে কেটে শাস্তি দেন। কিন্তু সেই কড়া চিঠিতেই একটা বড়সড় বিপত্তি হয়ে গেল। কারণ হিসাবে বলা হয়, 'Bed Performace'-এর কারণেই এমনটা করা হয়েছে।
Bad পারফরম্যান্সের জায়গাতেই ভুল করে কেউ বেড লিখে ফেলেছিলেন। আর সোশ্যাল পাড়ার ছেলেপুলেও সেই সুযোগ ছাড়েনি। কোমর বেঁধে হাসি-মিমে ভরিয়ে দিয়েছেন ফেবু-এক্স ব্যবহারকারীরা।
তবে এটা হয়তো হওয়ারই কথা! কোনও অফিসিয়াল নথিতে ১৪ বার বেড পারফরম্যান্স দিলে তো এটা হবেই! কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে এই বানান বিভ্রাট হল, তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এরপরেই চরম অস্বস্তিতে পড়েন শিক্ষা দফতরের রাশভারী আমলারা। দ্রুত বানান সংশোধন করে বেড-কে ব্যাড করা হয়। নতুন করে নির্দেশিকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও এই বেড পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু মুখ খুলছেন না জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাজেশ কুমার। এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি তিনি।