Virat Kohli First Car: ক্রিকেটের ময়দানে তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট তারকা এবং ভ্যালুয়েবল ব্যাটার। তিনি ব্যাট করতে নামলে টিভি ভিউয়ার্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তিনি আর কেউ নন সকলের প্রিয় বিরাট কোহলি (Vitat Kohli)। তার লাক্সারি পারফরম্যান্সের শখ হয়েছে কিন্তু আপনি কী জানেন যে, ক্রিকেট দুনিয়াতে এই পর্যায়ে পৌঁছানোর দৌড়ে তার প্রথম গাড়ি কী ছিল? শুধু তাই নয় এমনকী কারণ রয়েছে যে তিনি তার প্রথম গাড়ি হিসেবে এসইউভি বেছেছিলেন? এমন কিছু মজাদার বিষয় আপনার সামনে তুলে ধরব, যা বিরাট কোহলি নিজেই জানিয়েছেন।
বিরাট কোহলি জানিয়েছেন যে গাড়ি নিয়ে তার ফ্যাসিনেশন রয়েছে. তিনি মাঝে মধ্যেই গাড়ি বদলান। পুরনো গাড়ি বিক্রি করে দেন বা সেটি রেখেই নতুন গাড়ি আনেন। পাশাপাশি তার স্পোর্টস কারের দিকে অত্যন্ত আগ্রহ ও ঝোঁক রয়েছে এবং তিনি নতুন নতুন স্পোর্টস কার কিনতে পছন্দ করেন। বিরাট বলেন যে, জিনিস বদলায়, চাহিদা বদলায় এবং এখন আপনি একটি ফ্যামিলি এবং এসইউভি কার কেনার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন তখনই, যখন আপনার গাড়িতে বেশি জায়গা দরকার।
বিরাটের প্রথম গাড়ি
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তাঁর প্রথম গাড়ি কী ছিল? তখন বিরাট জানান যে, আমার প্রথম গাড়ি যেটা আপনি নিজে প্রথম কিনেছিলেন, সেটি হলো টাটা সাফারি। টাটা সাফারি নিয়ে বিরাট বলেছেন যে, টাটা সাফারি ওই সময়ে এমন গাড়ি ছিল যে গাড়িটি চালানোর সময় মোটিভেশন ছিল। শুধু তাই নয়, গাড়ি ভালো চলত বা এতে শুধু জায়গা বেশি ছিল। গাড়িটি যখন চলতো তখন লোকেরা তা থেকে সরে যেত।
কেমন ছিল টাটা মোটরসের টাটা সাফারির ক্রেজ?
টাটারা ১৯৯৮ সালে প্রথমবার মিড সাইজ এসইউভি হিসেবে বাজারে পেশ করেছিল। এই এসইউভি বাজারে আসতেই যুবক সম্প্রদায়ের মধ্যে জবরদস্ত ক্রেজ তৈরি করে ফেলে। এত চাহিদা ছিল যে বড় বড় শিল্পপতি সেলিব্রিটিরা এবং নেতারা সাফারিতে সফর করতে পছন্দ করতেন। ফাস্ট জেনারেশনের সঙ্গে সেভেন সিটার ডিজাইন করা হয়েছিল। যদিও ২০২১ সালে এই গাড়িটিকে নতুন করে টাটা মোটরস বাজারে নামায়। যা এই মুহূর্তে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
গাড়িতে ডিজেলের বদলে পেট্রল ভরেছিলেন
নিজের প্রথম গাড়ি কিনে গাড়িতে ডিজেলের বদলে পেট্রল ভরেছিলেন বিরাট কোহলি। নিজেই জানালেন সেই তথ্য। কিন্তু কেন? আসলে নতুন গাড়ি কিনে বিরাট ও তাঁর দাদা দুজনে মজা করে হাওয়া খেতে বেরিয়েছিলেন। প্রথমবার গাড়ি কেনার আনন্দে পেট্রল পাম্পে গিয়ে পেট্রল ও ডিজেল ট্যাঙ্কের পার্থক্যের বিষয়টি মাথায় ছিল না। বিরাটের দাদা পেট্রল ট্যাঙ্কের সামনে গাড়ি দাঁড় করান। আর ফুল ট্যাঙ্ক ভরে দিতে বলেন। পরে গাড়ি কিছুটা যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। নতুন গাড়ি কেন এমন সমস্যা করছে এই চিন্তায় তখন মাথা খারাপ। সেই সময় বিরাটের দাদার হঠাৎ মনে পড়ে যে ভুল করে পেট্রল ভরিয়ে দিয়েছেন। এরপর ফের গাড়ির মেকানিক ডেকে ট্যাঙ্ক খালি করিয়ে তারপর ফের ডিজেল ঢালা হয়।