scorecardresearch
 

Success Story: ৩০ হাজারের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করে এখন কয়েক হাজার কোটির মালিক এই ভারতীয়, কীভাবে ?

ফোর্বসের নতুন তালিকায় এই প্রথমবার স্থান পেয়েছেন ২৫ জন বিলিয়নেয়ার। এর মধ্যে একজন বিলিয়নিয়ার আছেন, যিনি তাঁর ৩০,০০০ টাকার চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আর আজ তিনি ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার তালিকায়। তাঁর নাম বিজয় আগরওয়াল, অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট (ACE) কোম্পানির চেয়ারপার্সন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

Advertisement
ACE-র চেয়ারপার্সন ও এমডি বিজয় আগরওয়াল ACE-র চেয়ারপার্সন ও এমডি বিজয় আগরওয়াল
হাইলাইটস
  • বিজয় আগরওয়াল, অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট (ACE) কোম্পানির চেয়ারপার্সন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
  • অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট (ACE) কোম্পানি কী করে? বিজয় আগরওয়ালের কোম্পানি ACE নির্মাণ সরঞ্জাম তৈরি করে।
  • একসময়ে পিপিএফ-এর সঞ্চয়ের টাকা তুলে সেটা দিয়েই ব্যবসা শুরু করছিলেন বিজয় আগরওয়াল। তার আগে অবশ্য আর পাঁচটা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যুবকের মতোই ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন।

২০২৪ সালের ধনকুবেরদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। তাতে ২০০ জন ভারতীয়র নাম রয়েছে। গত বছর এই তালিকায় ১৬৯ জন ভারতীয়র নাম ছিল। ২০২৪ সালের তালিকায় থাকা ভারতীয়দের মোট সম্পদের মূল্য $৯৫৪ বিলিয়ন। আগের অর্থবর্ষে ১৬৯ জন বিলিয়নেয়ারের মোট সম্পদ ছিল $৬৭৫ বিলিয়ন।

ফোর্বসের নতুন তালিকায় এই প্রথমবার স্থান পেয়েছেন ২৫ জন বিলিয়নেয়ার। এর মধ্যে একজন বিলিয়নিয়ার আছেন, যিনি তাঁর ৩০,০০০ টাকার চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আর আজ তিনি ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার তালিকায়। তাঁর নাম বিজয় আগরওয়াল, অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট (ACE) কোম্পানির চেয়ারপার্সন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

অ্যাকশন কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট (ACE) কোম্পানি কী করে? বিজয় আগরওয়ালের কোম্পানি ACE নির্মাণ সরঞ্জাম তৈরি করে। তাঁর কোম্পানি হাইড্রোলিক মোবাইল ক্রেন, টাওয়ার ক্রেন, লোডার, ট্রাক্টর এবং কৃষি সরঞ্জাম উৎপাদন করে। কোম্পানির ক্রেনের ব্যবসা থেকেই মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে। ভারতে মোবাইল ক্রেনের বাজারে সংস্থার শেয়ার ৬৩ শতাংশ। টাওয়ার ক্রেনের বাজারের ৬০ শতাংশ তাদের দখলে। এই কোম্পানিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। শুক্রবার, সংস্থার শেয়ার ০.৮৭% বেড়ে ১,৫৭২ টাকায় ক্লোজ হয়েছে।

আরও পড়ুন

একসময়ে পিপিএফ-এর সঞ্চয়ের টাকা তুলে সেটা দিয়েই ব্যবসা শুরু করছিলেন বিজয় আগরওয়াল। তার আগে অবশ্য আর পাঁচটা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যুবকের মতোই ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন। কিন্তু বরাবরই ব্যবসাতেই ঝোঁক তাঁর। তাই বেশিদিন চাকরি করতে চাননি। নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য ১৯৯৫ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। হাতের মুঠোয় নিরাপদ চাকরি, সুনিশ্চিত ভবিষ্যত। এমন সময়েই হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দেন। সেই বছরের জানুয়ারিতে, ফরিদাবাদে ব্যবসা শুরু করেন। সেই সময়ে ছিল না কোনও দোকান বা কারখানা। সামান্য ছাউনিটুকুও জোটেনি। একটি তাঁবু খাটিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সঞ্চয় এবং পিপিএফ থেকে প্রায় ১৫লক্ষ টাকা তুলে সেই বিনিয়োগ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিও স্বাভাবিকভাবে এই বছরের ফোর্বসের তালিকায় আছেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় তাঁর মোট সম্পদ ৩৯.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আম্বানি বিশ্বের নবম ধনীতম ব্যক্তি। ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে দেশের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তির স্থানে রয়েছেন গৌতম আদানি।

Advertisement

Advertisement