scorecardresearch
 

Vatsal Nahata: ৬০০ ইমেল, ৮০ ফোন কল...ধনুর্ভঙ্গ পণে বিশ্বব্যাঙ্কে চাকরি ভারতীয় যুবকের

২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। চাকরি পাওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছাঁটাই শুরু করেছিল একাধিক সংস্থা। হাজারো মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছিলেন। সে কথা স্মরণ করে বৎসল জানান,'বেশিরভাগ সংস্থাই কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছিল। অভিবাসন নীতি নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়েও আশঙ্কিত ছিল সংস্থাগুলি। শুধুমাত্র মার্কিন নাগরিকদেরই নিয়োগ করছিল তারা। ফলে নতুন করে নিয়োগে পরিস্থিতিই ছিল না। আর্থিক মন্দার কালো মেঘ ঘনাচ্ছিল।   

Advertisement
বৎসল নাহাতা। বৎসল নাহাতা।
হাইলাইটস
  • লাগাতার চেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কে চাকরি জোটালেন।
  • একটানা ইমেল ও ফোন করেও ধৈর্য্য হারাননি।

পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। সেটাই সত্যি করে দেখালেন এক ভারতীয় যুবক। লাগাতার চেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কে চাকরি জোটালেন। একটানা ইমেল ও ফোন করেও ধৈর্য্য হারাননি। সে কথাই শেয়ার করেছেন তাঁর  
লিঙ্কডইনে। এই সাফল্যের কাহিনি অনুপ্রাণিত করতে পারে হাজারে ভারতীয় পড়ুয়াদের।

দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক বৎসল নাহাতা। তার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো। ২০২০ সালের এপ্রিলে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাশ করেন। তাঁর বয়স ২৩ বছর। তাঁর কাহিনির সূচনা ২০২০ সালে। তখন করোনা অতিমারি বিশ্বজুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে। চাকরি পাবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন বৎসল। বিনিদ্র রজনী কাটত। বৎসল লিখেছেন, যখন ভাবি বিশ্বব্যাঙ্কে কীভাবে কাজ পেলাম, তখন কেঁপে উঠি।  

২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। চাকরি পাওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছাঁটাই শুরু করেছিল একাধিক সংস্থা। হাজারো মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছিলেন। সে কথা স্মরণ করে বৎসল জানান,'বেশিরভাগ সংস্থাই কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছিল। অভিবাসন নীতি নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়েও আশঙ্কিত ছিল সংস্থাগুলি। শুধুমাত্র মার্কিন নাগরিকদেরই নিয়োগ করছিল তারা। ফলে নতুন করে নিয়োগে পরিস্থিতিই ছিল না। আর্থিক মন্দার কালো মেঘ ঘনাচ্ছিল।   

তিনি লিখেছেন,'আমার হাতে চাকরি নেই। এদিকে ২ মাসের মধ্যেই স্নাতক হব। ইয়েলের ছাত্র হয়েও এমন অবস্থা ছিল! নিজেকেই প্রশ্ন করচাম'ইয়েলের পড়াশোনা করে আদৌ কোনও লাভ হল। মা-বাবা ফোন করে যখন চাকরির কথা জিজ্ঞেস করত, কিছু বলতেই পারতাম না'।

কঠিন পরিস্থিতিতেও বৎসল দুটি ভাবনা মনে গেঁছে ফেলেছিলেন, ভারতে ফেরার কোনও প্রশ্নই নেই। প্রথম চেকটা হতে হবে মার্কিন ডলারেই। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন,চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করা বা নিয়োগ পোর্টাল দেখবেন না। ঠিক করেন,শুধুমাত্র সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করবেন। অচেনা জায়গায় ফোন করে চাকরি জোটাবেন। শুরু হয় তাঁর পরিশ্রম। 

Advertisement

তিনি জানান,দেড় হাজারেরও বেশি কানেকশন রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন। ৬০০টিরও বেশি ইমেল এবং প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলেছিলেন তিনি। বৎসল বলেন,'রোজ অন্তত ২টো কল করতামই। প্রত্যাখ্যাতই হচ্ছিলাম। তবে চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছিল। ভয় করত না আর। এমনও হয়েছে যে মাঝরাতেও ঘুমের মধ্যে ফোন করে চাকরি খুঁজেছি।' শেষপর্যন্ত সফল হয়েছে বৎসল। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চার-চারটে চাকরির অফার পেয়েছেন। এর মধ্যে ছিল বিশ্বব্যাঙ্কে চাকরিও। বিশ্বব্যাঙ্কের অফার গ্রহণ করেছেন বৎসল। 

আরও পড়ুন- মেধাতালিকায় থাকা সবার নিয়োগ, জানাল SSC, সোম-বঙ্গে চাকরির জোয়ার

Advertisement