দিন কয়েক আগে সৌর শিখা (Solar Flare)-র দাপট দেখে গিয়েছিল। আর এর জেরে আটলান্টিক কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবার আসতে চলেছে সৌরঝড়। খুব বেশি দেরি নেই। কাল, মঙ্গলবার এবং তার পরের দিন বুধবার সেই সৌরঝড় উঠতে চলেছে।
আর এর প্রভাব পড়তে চলেছে পৃথিবীতেও। একে বলা হচ্ছে, ভূচুম্বকীয় ঝড় (জিওম্যাগটেনিক স্টর্ম বা Geomagnetic Storm)। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা তেমনই মনে করছেন।
সম্প্রতি সূর্যের নিরক্ষীয় অঞ্চলে ফেটে পড়েছিল সৌর শিখা (Solar Flare)। আর তার জেরে প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতেও। কারণ এটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ধাক্কা দিতে পারে।
কোথায় প্রভাব পড়তে পারে
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরছে। সেগুলির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। আর এর জেরে জিপিএস (GPS) নেভিগেশন, মোবাইল ফোন সিগন্যাল, স্যাটেলাইট টিভি পরিষেবা প্রভাবিত হতে পারে।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, এর প্রভাব আরও থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দুনিয়ার বেশ কিছু জায়গার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহের গ্রিডে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সেখানে তৈরি হওয়া প্রবল হাওয়া ভূচুম্বকীয় ঝড় (Geomagnetic Storm)-এ পরিণত হতে পারে। আর তা ধাক্কা দেবে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকেও।
ভূচুম্বকীয় ঝড় কী
বিশেষজ্ঞরা ভূচুম্বকীয় ঝড় (Geomagnetic Storm)-এর ব্য়াপারে জানাচ্ছেন, এটা এমন একটা ঝড় যা পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রেকে ধাক্কা দেয়। এটা সাধারণত তখন হয়, যখন সৌর বাতাসের জেরে তৈরি হওয়া শক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আশপাশে ঢুকে সমস্যা তৈরি করে।
ন্য়াশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্য়াটমোস্ফেরিক অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানাচ্ছে, সৌর বাতাসের ফলে কারেন্ট, প্লাজমার পরিবর্তন হয়। আর তার ফলে তৈরি হয় ওই ঝড়। তবে ঘটনা হল, ভূচুম্বকীয় ঝড় তৈরি হতে গেলে বড়সড় সময়ের জন্য প্রবল গতিবেগের সৌর বাতাস থাকতে হবে। আর তারপরই পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে থাকা বাতাসের শক্তি সেটা বদল করত পারে।
সৌর শিখা কী
দিন কয়েক আগে সৌর শিখা (Solar Flare) দেখেছে পৃথিবী। এটা সাম্প্রতিক অতীতে সবথেকে বড় সৌর শিখা (Solar Flare) ছিল। আর এর জেরে আটলান্টিকে রেডিও ব্যবস্থা পুরোপুরি বসে গিয়েছিল। সৌর শিখা আচমকাই তৈরি হয়। এটি অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে। সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে থাকা শক্তি দুম করে সরে গেলে তা তৈরি হয়।