শিলিগুড়ি দাপাচ্ছে স্যাফরন কেয়ার
বামেদের ;রেড ভলেন্টিয়ার' এর পাল্টা 'এবার বিজেপির স্যাফরন কেয়ার'। করোনা মোকাবিলার পথে নেমেছে বিজেপি যুব মোর্চার একদল ছেলে মেয়ে।
রাত বিরেতে মিলছে স্যাফরন পরিষেবা
রাত একটা কিংবা ভোর পাঁচটা, যখন যেখানে দরকার, কখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ কিট নিয়ে হাজির হচ্ছেন তাঁরা। আবার কখনও ভর্তি করানোর লোক নেই, অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। স্যানিটাইজেশনের প্রক্রিয়া তো নিয়মিত চলছেই।
গেরুয়া গণ্ডি
আপাতত দার্জিলিং জেলাতেই এই স্যাফরন কেয়ার চালু করেছেন তারা। সার্বিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নয়, স্থানীয়ভাবে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার ছেলেমেয়েরা এগিয়ে এসেছে এই স্যাফরন কেয়ার গড়ে। হাসি ফুটেছে অনেক পরিবারের মুখেই।
কি বলছেন গেরুয়া বাহিনী
স্যাফরন কেয়ারে নেতৃত্বে যিনি রয়েছেন, সেই বিজেপির যুব মোর্চার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ জানিয়ে দিলেন, কারও পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য আমরা সারা বছরই কাজ করি। রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের আছেই এবং আমাদের রং গেরুয়া। তাই স্বেচ্ছাসেবামুলক কাজে আমরা স্যাফরন কেয়ার নামটি নির্বাচিত করেছি। এতে নির্দিষ্ট করে শুধুমাত্র সেবা পাওয়ার জন্যই মানুষ ফোন করতে পারেন। কিছু লোকের নম্বর এবং নাম ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই কাজে সব সময় নিযুক্ত থাকছে। রাজনৈতিক কাজের মাঝেও তাঁরা যে কোনও সাহায্যে মানুষের পাশে থাকবেন।
এলাকাভিত্তিকভাবে কাজ করবেন তাঁরা
বিজেপির যে সমস্ত সাংগঠনিক ভাগ রয়েছে, জেলা, শক্তি কেন্দ্র, মন্ডল। সেই অনুযায়ী ভাগ করে কাজ করবে দলগুলি।
শঙ্করবাবুর পরামর্শে এমন উদ্যোগ
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের পরামর্শেই স্যাফরন কেয়ার তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে তিনি এই প্রজন্ম নামে একটি সমাজ সেবামূলক সংগঠন চালাতেন। তিনি সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কার্যত সেটি ভেঙে যায়।
কি বলছেন বিধায়ক
রাজনীতির সময় এখন নয়। নির্বাচনী রাজনীতির পর এখন সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রত্যেকেরই উচিত মানুষকে যথাসম্ভব সাহায্য করা। সেই উদ্দেশ্যেই এই দলটি কাজ করবে বলে দাবি করেছেন শঙ্করবাবু।