একজন ১০ বছর বিধায়ক ও মন্ত্রী থাকার পর হেরে বিধানসভা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। আরেক জন ১০ বছর বিধায়ক থাকলেও মন্ত্রী ছিলেন এক দফাতেই। ফলে এবারের মন্ত্রিসভায় তাদের আর দেখা যাবে না। তাতে কি? মন্ত্রীদের সঙ্গে উন্নয়ন কমিটিতে প্রায় মন্ত্রীর মতোই আচরণ করবেন এখন তারা।
উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে মন্ত্রীর বদলে কমিটি
উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য একটি যৌথ কমিটি তৈরি করে রাজ্য সরকার। এক জন বিদায়ী পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব অন্য জন বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেই সঙ্গেই কমিটিতে রাখা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে নির্বাচিত অন্য মন্ত্রীদেরও। বাকিদের বিভিন্ন দপ্তর দেওয়া হলেও আদতে তারা যে উত্তরবঙ্গের গণ্ডিতে থেকেই উন্নয়নের কাজ করবেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে কমিটিতে থাকছেন, মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র এবং ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন রয়েছেন।
হেরো মন্ত্রীদের কমিটিতে কেন?
হেরে যাওয়া মন্ত্রীদের দিয়ে প্রশাসনিক কাজ চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। তাহলে কি বিজয়ী বিধায়কদের উপর ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি হেরে যাওয়া বিধায়কদের সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে উন্নয়ন কমিটি তৈরি করে পুনর্বাসন দিতে চাইছেন। এর উত্তর মেলা মুশকিল।
কমিটি নতুন নয়, আগেও ছিল
তবে এমন উন্নয়ন কমিটি আগেও করা হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকলেও পর্যটনমন্ত্রীকে রেখে একটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন কমিটি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৮ সালেও। সেই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল গৌতম দেবকে। এবারও সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে সমস্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কমিটি তৈরি বলে তৃণমূলের দাবি। তবে সেবার হেরে যাওয়া কোনও বিধায়ককে রাখা হয়নি।
বিরোধীদের দাবি ও অভিযোগ
তবে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ অভিযোগ করেছেন, উত্তরবঙ্গ বরাবরই বঞ্চিত ছিল। গত দশ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এবারও হবে বলে আশা করছি না। অন্যদিকে বামফ্রন্টের পক্ষে অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভা থেকেই পরিষ্কার, উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত হতে চলেছে। কটাক্ষ করেছেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্তও।