মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে তাঁর কোলে গণেশকে বসানো হয়েছে। এই পুজোটি প্রতিমা তৈরি করেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার জাগরন সংঘ ক্লাবের। তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরন সংঘ ক্লাবে এমনই একটি প্রতিমা দর্শনার্থীদের যেমন নজর কেড়েছে, তেমনই এলাকায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কী দাবি ক্লাব কর্তৃপক্ষের
ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশোভূজা দুর্গার মত রক্ষা করে চলেছে। একের পর এক জন-কল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর নেতৃত্বে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গার মতো তুলনা করে, তাঁর দশোভূজা মূর্তি বানানো হয়েছে এবং তাঁর কোলে দুর্গার পুত্র গণেশকে বসিয়ে চলছে গণেশ চতুর্থীতে বন্দনা। এ রমধ্যে আপত্তির কিছু দেখছেন না তাঁরা।
উদ্বোধন করেন তৃণমূল নেতারা
এদিন মণ্ডপে দেখা গেল, দেবী দুর্গার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীল সাদা শাড়ি রূপে দশ হাতে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মত প্রকল্পের চিত্র নিয়ে রয়েছেন। দুই হাতে গণেশকে ধরে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যদিও এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব দেবী দুর্গার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। প্রথমবারের এই পুজো উদ্বোধন করতে আসেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল, জেলা ছাত্র সভাপতি প্রসূন রায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান, ব্লক ছাত্র সভাপতি বিমান ঝাঁ, যুব হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ সভাপতি জিয়াউর রহমান, মনোতোষ ঘোষ প্রমূখ। ফিতা কেটে গণেশ পূজার সূচনা করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
তোপ বিজেপির
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও ক্লাব সম্পাদক বুলবুল খান জানান, আমাদের এই ক্লাব তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবী দুর্গার মতো আমাদের পশ্চিমবঙ্গবাসীর সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জন-কল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র সব মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন। তাই আমরা ওঁনাকে সম্মান জানাতে দেবী দুর্গার মত রূপ দিয়েছে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদক কৃষাণ কেডিয়া জনান, দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীও সমর্থন করবেন না। সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখবেন না এই ব্যাপারটাকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এর জবাব দেবেন এলাকার মানুষরা।