সরকারি এসইউভি গাড়ি ও টোটোর সংঘর্ষে টোটো চালকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু টোটো চালকের
ঘটনাটি ঘটেছে, শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটের ২ নং গেট সংলগ্ন এলাকায়। মৃত টোটো চালকের নাম প্রমোদ বর্মন। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। তিনি চম্পাসারি এলাকার ঢাকনিকাটা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনায় অভিযুক্ত এসইউভি গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম
ভবানী দাস। বয়স আনুমানিক ২৯ বছর। সে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামের বাসিন্দা। আটক করা হয়েছে ঘাতক এসএইভি গাড়িটিকে। ভবানী দাসকে শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জবান
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে রেগুলেটেড মার্কেটের সামনে রং সাইড দিয়ে এসে এসইউভি গাড়িটি টোটোটিতে ধাক্কা মারে। এরপর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় টোটো চালকের।
দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ
এরপর খবর পেয়ে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিতে মৃতের পরিবারের সদস্যরা ও টোটো অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। প্রধান নগর থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন তাঁরা। এরপর প্রধান নগর থানার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ ও দোষী গ্রেফতার
মৃতের পরিবারের তরফে প্রধান নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে প্রধান নগর থানার পুলিশ। মৃত প্রমোদের দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অসহায় পরিবার, সাহায্যের আর্তি
মৃত প্রমোদ বর্মনের পরিবারে তার দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন প্রমোদ। তাই পরবর্তীতে দুই সন্তানকে নিয়ে কি করে দিন কাটবে, এই চিন্তায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রমোদের স্ত্রীয়ের। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি প্রমোদের স্ত্রীয়ের।