পাহাড়ে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে বিমল গুরুং বিরোধী আওয়াজ। ফের একবার গুরুং বিরোধী মিছিলে কেঁপে উঠল পাহাড়। শনিবার কার্শিয়াঙের একাধিক জায়গায় মিছিল বের হয়। অন্যদিকে, অনিত থাপা ও বিনয় তামাংকে কলকাতায় ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কার্শিয়াংয়ে মিছিল
রাতারাতি বিমল গুরুঙের আগমনে বদলে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক চিত্রটা। বিজেপি ছেড়ে এবার তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন বিমল গুরুং। অন্যদিকে বিমলের আগমনের খবরেই প্রথম থেকেই রাস্তায় নেমে পাল্টা মিছিল শুরু করে বিনয় তামাং ও অনিত থাপার গোষ্ঠী। কয়েকদিন আগে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিরাট মিছিল হয়। সেই মিছিলের স্পষ্ট বার্তা ছিল গুরুংকে স্বাগত জানানো যাবে না। এদিন কার্শিয়ায়েও বিরাট মিছিল বের হয়। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক স্লোগানে তপ্ত হয়ে রইল পাহাড়।
বিনয় তামাং ও অনিত থাপা শিবিরের দাবি, পাহাড়বাসী এখন শান্তিতে রয়েছেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। কিন্তু গুরুং ফের পাহাড়ে এলে শান্তিভঙ্গ হবে। তাই তাঁকে পাহাড়ে না ফেরার বার্তা দেওয়া হচ্ছে মিছিলগুলি থেকে।
বিনয় তামাংকে ডাক মমতার
এরই মধ্যে পাহাড়ের রাজনীতি নিয়েছে নয়া মোড়। বিনয় তামাং ও অনিত থাপা এবার আসছেন কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তাঁদের নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন। পাহাড়ের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার লক্ষে বৈঠক ডেকেছেন তিনি। আগামী ৩ নভেম্বর নবান্নে আসতে পারেন কট্টর গুরুং বিরোধী বিনয় তামাং ও অনিত থাপা।
৩ বছরের বেশি সময়ে আত্মগোপন থাকার পরে অনেকটা নাটকীয় ভাবে কলকাতা ফেরেন বিমল গুরুং। সাংবাদিক সম্মেলন করে এনডিএ-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ভেঙে তৃণমূলের হাত ধরতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু বিমলের এমন প্রত্যাবর্তন কোনওমতেই মেনে নিতে পারছেন না বর্তমানে জিটিএ-এর দায়িত্বে থাকা বিনয় তামাং ও অনিত থাপা গোষ্ঠী। ফলে আগামী দিনে পাহাড়ের রাজনীতিতে বড়সড় চমক হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।