বেনজির কাণ্ড মালবাজারে। একই ব্যাক্তিকে করোনার তিনটি ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনা মালবাজার মহকুমার নাগ্রাকাটা ব্লকের আঙ্গড়া ভাষা দুই নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। নাগরাকাটা ব্লকের আঙড়া ভাষা গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ রায় ধুমপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে এক স্কুলে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে টিকা দিতে গিয়েছিলে। সেখানে কর্তব্যরত নার্স পরিতোষ রায়কে পর পর তিনটি ভ্যাক্সিন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর সেই ব্যাক্তি বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে যায়।
কী জানাচ্ছে হাসপাতাল
শরীর খারাপ বেশি হলে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক এবং সুপার সুরজিত সেন বলেন, এখন ভালোই রয়েছেন ওই ব্যরক্তি। চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষনে রেখেছে। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি জানান, শরীর ভালো নেই। কানে কম শুনছেন এবং হাড়ে ব্যাথা হচ্ছে। যদিও এক সঙ্গে তিনটি ভ্যাকসিন যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন কেন ওই ব্যক্তি নিজে থেকে তা আটকাননি সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পরিতোষবাবু জানিয়েছেন, তিনি আদতে জানতেন না কটা ভ্যাকসিন মোট দেওয়া হয়। তাই আটকাতে পারেননি। গোটা ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাঁকুড়াতে অভিযোগ উঠেছিল
জুলাই মাসে বাঁকুড়াতে এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেখানে এক মহিলাকে একসঙ্গে দুটি ডোজ দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। বাঁকুড়ার রাজমাধপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের গৃহবধূ মন্দিরা পাল স্থানীয় আশাকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন ৬ থেকে ১২ বছর শিশুদের মায়েদের টিকা দেওয়া হবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। খবর পেয়ে আজ নিজের ৯ মাসের কোলের দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে থাকা পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন মন্দিরা পাল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর আধার কার্ড দেখে আর পাঁচ জনের মতোই নির্দিষ্ট অ্যাপে তথ্য নথিভুক্ত করান স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর তাঁর বাম হাতে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেন এক স্বাস্থ্য কর্মী। নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরা পালকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী।
অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মী আবার তাঁর বাম হাতে টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশন দেন। টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দিরা দেবী অন্যান্যদের মুখে শুনেছিলেন টিকার দুটি ইঞ্জেকশান নিতে হবে। কিন্তু তা যে নির্দিষ্ট দিন অন্তর দেওয়ার নিয়ম, তা জানতেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় প্রতিবাদ জানাননি। পরে অন্যান্যদের একটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়েছে শুনে তাঁকে কেন দুটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হল, তা জানতে চান স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। মন্দিরা পালের দাবি, একথা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে জানতে চাওয়ায় তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরী হয়। এরপর মন্দিরা দেবীকে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয় হাসপাতালে।