নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। গতরাতে মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মেলা থেকে মুখ চেপে অপহরণ
স্থানীয় ও নাবালিকার পরিবার সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার চন্ডিপুরের পাশের গ্রাম উত্তর শালদহ এলাকায় উরুষের মেলা চলছিল। সেখানেই ওই ধর্ষিতা নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে মেলা দেখতে যায়। মেলা দেখতে গিয়ে রাত হয়। রাত বারোটা নাগাদ মেলাতেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওই নাবালিকা মেলার পাশের ফাঁকা মাঠে যায়। সেখানেই কয়েকজন যুবক ওই মেয়েটির মুখে কাপড় জড়িয়ে তাকে সেখান থেকে অপহরণ করে মোটর-সাইকেলে করে পালিয়ে যায়। মুখে কাপড় চেপে ধরায় চিৎকার করতে পারেনি সে।
পরিত্যক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ
কয়েক কিলোমিটার দূরে চন্ডীপুর হাই স্কুলের পিছনে একটি পরিতক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছাদে নিয়ে গিয়ে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে জনা পাঁচেক যুবক বলে অভিযোগ। নাবালিকা কিশোরীটিকে বারংবার ধর্ষণের ফলে সম্ভবত জ্ঞান হারায় সে। অভিযুক্তরা সম্ভবত তাকে মৃত ভেবে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোক লোক মারফত খবর পেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
২ জন গ্রেফতার, ৩ জন পলাতক
ওই নাবালিকা এলাকার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। ঘটনার পরই স্থানীয় পুলিশের তৎপরতায় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,বাকি ৩ যুবক পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা নাবালিকার মা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেফতার ও কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।