আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাস না পাওয়ায় রাস্তা অবরোধ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। যার জেরে রবিবার সকাল থেকেই অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে বাঁকুড়ার (Bankura) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তাঁদের অভিযোগ, বুকিং করার পর পরেও আসেনি পর্যাপ্ত বাস। আন্দোলনকে ভেস্তে দিতেই এই ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। অবিলম্বে বাস বুকিং-এর অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সারি ধর্মের সরকারি স্বীকৃতি, জঙ্গলমহলে বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হস্টেলগুলি পুনরায় চালু, সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষার উপযুক্ত পরিকাঠামো গঠন সহ বিভিন্ন দাবিতে রবিবার কলকাতার (Kolkata) রানি রাসমনি রোডে আন্দোলনের ডাক দেয় ভারত জাকাৎ মাঝি পারগানা মহল সহ আদিবাসীদের মোট ১৭টি সংগঠন। ভারত জাকাৎ মাঝি পারগানা মহলের দাবি, এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাঁকুড়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ তৈরি ছিলেন। আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের তরফে দুই শতাধিক সরকারি বাসও বুক করা হয়। সরকারি নিয়ম মেনে বুকিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও জমা দেওয়া হয় পরিবহণ দফতরে। কথা ছিল শনিবার বিকেল ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে বাসগুলি। কিন্তু সেই সময়ের পরিবর্তে রবিবার ভোরে হাতে গোনা মাত্র দশ পনেরোটি বাস এসেছে বলে অভিযোগ।
আদিবাসীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত বাস না আসায় প্রচুর আন্দোলনকারী কলকাতায় পৌঁছতে পারেননি। তাঁদের আরও অভিযোগ, বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে কলকাতার আন্দোলনে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য পরিকল্পিত ভাবেই এই গন্ডগোল পাকিয়েছে সরকারের পরিবহণ দফতর। ঘটনার প্রতিবাদে পালটা অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। বাঁকুড়া - ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের রাইপুর, সিমলাপাল, পিড়রগাড়ি মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে একাধিক আদিবাসী সংগঠন। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্ত। থমকে যায় যান চলাচল। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বাস বুকিং-এর অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে হবে এবং বাকি সমস্ত দাবি দাওয়া পূরণ করতে হবে।