সুন্দরবনকে নতুন জেলা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সরকারি জনসভায় মমতা বললেন, 'সুন্দরবনকে নতুন জেলা করছি। আরও অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি অফিস তৈরি করা হবে।'
নতুন জেলা সুন্দরবন
আজ ৩ দিনের সুন্দরবন সফরে হিঙ্গলগঞ্জে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এদিন সরকারি অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। মঙ্গলবার রাতটা টাকির জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলোয় কাটাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপলক্ষে রাতারাতি সেজে উঠছে পুরো টাকি পর্যটন কেন্দ্রই। নীল-সাদা রঙের প্রলেপ পড়ছে নানা জায়গায়। রং-বেরঙের ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে। রাস্তাঘাট সাফসুতরো করার কাজ চলছে।
ভোটার লিস্টে নাম তুলতে আধার লাগে না
এদিন হিঙ্গলগঞ্জের সরকারি অনুষ্ঠানে সুন্দরবনকে পৃথক জেলা ঘোষণা করেন মমতা। একই সঙ্গে হিঙ্গলগঞ্জ সহ সুন্দরবন সংলগ্ন সব জায়গার মানুষকে মমতা অনুরোধ করেন, ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য। মমতা বলেন, 'ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে আইডেন্টিটি থাকবে না। ১৭-১৮ বছর বয়স যাঁদের, তাঁরাও নাম তুলবেন। নাম তুলতে গিয়ে যদি কেু বলে, আধার কার্ড নিয়ে এসো, জেনে রাখুন, ভোটার লিস্টে নাম তুলতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। বনবিবির মন্দিরটা পাকা হয়ে গেলে আমি আবার এখানে আসবো।'
হোম স্টে চালু করুন
মমতা আরও জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দারা হোমস্টে চালু করলে সরকার সাহায্য করবে। তিনি বলেন, 'এই সব এলাকায় হোম স্টে করুন। নিজেদের বাড়ির একটা ঘর ছেড়ে দেবেন। সেখানে বায়োটলেট থাকবে, খাট থাকবে, টিভি থাকবে। একটা ঘর ছেড়ে দেবেন। হোমস্টে করুন। সরকার টাকা দেবে।'
সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যান
মমতা জানান, সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য তিনি কেন্দ্রকে একটি মাস্টার প্ল্যান পাঠাচ্ছেন। বলেন, আমি কেন্দ্রের কাছে সুন্দরবন উন্নয়ন নিয়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান পাঠাচ্ছি। কী করে নদী ভাঙন রোখা যায়, কী করে এই অঞ্চলগুলো ভাল রাখা যায়, সেই বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যান পাঠাচ্ছি।