একসময় দলনেত্রী বলেছিলেন ২৯৪টা আসনে তিনিই প্রার্থী। এবারও হয়ত সেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখকে সামনে রেখেই নির্বাচনী লড়াইতে নামতে চলেছে তৃণমূল (TMC)। আগামী ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপরে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূতে খবর, আগামী ৪ তারিখ দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলবেন নেত্রী। এরপর ৭ তারিখ ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল। প্রথমেই বেছে নেওয়া হয়েছে মেদিনীপুরকে (Midnapore)। "বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না", মমতার এই বার্তাকে সামনে রেখেই আয়োজিত হবে সভা। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌর মণ্ডল, অম্লান ভাদুরি, দুলাল সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেনের মত নেতারা। থাকবেন প্রশান্ত কিশোরও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা কর্মী ও সমর্থকেরাও থাকবেন সভায় ।
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে মেদিনীপুরকেই বেছে নেওয়া হল কেন নেত্রীর সভার জন্য? এক্ষেত্রে দলের কেউ কেউ বলছেন নির্বাচনের আগে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়লে তা অবশ্যই দলের জন্য ক্ষতি। তবে এই সভার মধ্যে দিয়ে একবার জলও মেপে নেওয়া যাবে, যে শুভেন্দুর সঙ্গে দলের সম্পর্কের এই শীতলতা আদতে কতটা প্রভাব ফেলেছে মেদিনীপুরের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে। যদিও দলের অপর একটি অংশ অবশ্য শুভেন্দু ফ্যাক্টর মানতে নারাজ। তাঁরা মনে করছেন তৃণমূলের প্রথম ও প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাই মেদিনীপুর থেকেই শুরু করা হচ্ছে এই কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ককে ঘিরে নানান জল্পনা বারেবারেই উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। লাগাতার দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তাঁকে যে সমস্ত মঞ্চে দেখা গেছে, সেখানে দেখা যায়নি ঘাসফুলের প্রতীক। এই পরিস্থিতিতে ২৭ তারিখ মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। ইস্তফা দেন আরও একাধিক পদে। তারপরেই জল্পনা আরও জোড়ালো হয় যে এবার তাঁর দল ছাড়া হয়ত সময়ের অপেক্ষা। এক্ষেত্রে কেউ কেউ মনে করছেন তিনি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। কারও আবার ধারনা নতুন দল গড়তে পারেন শুভেন্দু। যদিও শুভেন্দুর অভিমান কাটিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রয়াস এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তাঁর বিষয়ে আশাবাদী এখনও দলের অনেকেই। এখন দেখার শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় রাজ্য রাজনীতি।