টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের সঙ্গে বাংলার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীর তুলনা টেনে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
কেন্দ্রকে কটাক্ষ অভিষেকের
শুক্রবার একটি ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ট্যুইটেই তিনি বলেন, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সরকার কীভাবে চালাতে হয়, সেটা শিখুক কেন্দ্রীয় সরকার। জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকলেই পাচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা। এটা একটা তুলনা, যেটা বাংলার আজ ভাবে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকার আগামীকাল ভাবে।" টুইটের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের তুলনা টেনে একটি কার্ডও পোস্ট করেন তিনি।
It is indeed high time that @narendramodi ji starts taking governance lessons from @MamataOfficial! #SwasthyaSathi4All universalises healthcare, irrespective of caste, class, region & religion.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 27, 2020
👇 A comparison only corroborates what Bengal thinks today India thinks tomorrow! pic.twitter.com/iPkBtkGP1L
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকর হবে। পরিবারপিছু বছরে ৫ লাখ টাকার চিকিৎসা বিমার সুবিধা মিলবে। বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে এই বিমার পরিষেবা। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের সঙ্গে বাংলার রাজ্য সরকারে স্বাস্থ্যসাথীর তুলনা টেনে কেন্দ্রকে খোঁচা দেন।
ট্যুইটবার্তায় নিশানা
এদিন ট্যুইটে অভিষেক তুলে ধরেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে। অন্যদিকে, আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা হয় ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে। আয়ুষ্মান ভারতের জন্য মোট ৬০ শতাংশ অর্থবহন করে কেন্দ্র, কিন্তু স্বাস্থ্যসাথীর জন্য ১০০ শতাংশ অর্থ দেয় রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্য কোনও টাকা নেয় না রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, আয়ুষ্মান ভারতের পরিচয় পত্রের প্রিন্ট আউট পেটে খরচ হয় ৩০ টাকা। পরিবারের ৫ জন সদস্য থাকলে খরচ হবে ১৫০ টাকা। পরিবারের মহিলা প্রধান সদস্যকে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ওই মহিলার মা, বাবা, শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী, সন্তান সকলেই উপকৃত হবেন। সেইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, স্মার্ট কার্ড থাকায় হাসপাতালে ভর্তি হতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে এই কাজ খুব ধীর গতিতে হয়।