আগামিকাল রবিবার (Sunday) রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন হলদিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। হলদিয়া পরিশোধনাগারের দ্বিতীয় ক্যাটালিটিক আইসোডিওয়াকসিং ইউনিটের শিলান্যাস করবেন তিনি। একইসঙ্গে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে রানিচকে রেললাইনের ওপর ৪ নম্বর উড়ালটিরও উদ্বোধন করবেন মোদী। আর হলদিয়ায় (Haldia) পা রাখার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলায় ট্যুইট করে পশ্চিমবঙ্গে আসার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে ইতমধ্যেই পিএমও-কে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
আগামীকাল সন্ধ্যায়, আমি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় থাকব। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে , বিপিসিএল নির্মিত এলপিজি আমদানি টার্মিনালটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবো।একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের অন্তর্গত ধোবি - দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন বিভাগ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবো। pic.twitter.com/Fkl8E3uGjL
— Narendra Modi (@narendramodi) February 6, 2021
এই অনুষ্ঠানের পর হেলিপ্যাড মাঠে বিজেপির একটি সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভাতেই শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে খবর। আর সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিব্যেন্দু সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শিশিরবাবু অবশ্য অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকেও। যদিও অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন দেবও।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যে থাকতে পারবেন না সেই কথা ইতিমধ্যেই পিএমওকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও রাজ্যের আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়ায় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার আগেই ওঠে জয় 'শ্রীরাম স্লোগান'। যার জেরে প্রকাশ্যেই রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন মমতা। অনুষ্ঠানে সেভাবে কোনও বক্তব্যও রাখেননি তিনি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে সরাসরি অনুপস্থিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার এই ঘটনাকে কেন্দ্র নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও তরজা শুরু হয় কি না।