বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে গুজরাত প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা এক সময় গুজরাতে থাকতেন বলে জানালেন তিনি। সেইসঙ্গে আরও একাধিক বিষয়ে এদিন বলেন মোদী। একদিনে যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই বলছেন এ রাজ্যকে গুজরাত হতে দেবেন না, তখন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীতে জানাচ্ছেন কবিগুরুর সঙ্গে গুজরাতের সম্পর্কের কথা।
গুজরাত প্রসঙ্গ মোদী
গুজরাত প্রসঙ্গ মোদী বলেন, "আমি যখন কবিগুরুর বিষয়ে কথা বলি, তখন একটা কথা মনে আসে। আগের বার যখন আমি এসেছিলাম তখন আমি এটা সম্পর্কে কিছুটা বলেছিলাম। গুজরাত আর গুরুদেবের সম্পর্কের কথা আজ আমি জানাচ্ছি। এটা বারবার আমাদের ভাবা উচিত, কারণ এতে আমাদের এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত সম্পর্কেও আরও দৃঢ় করে। এটা দেখায় আলাদা ভাষা থাকলেও সব কিছু বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে জুড়ে থাকি। একে অন্যের থেকে অনেক কিছু শিখছে। কবিগুরুর বড় দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন আইসিএসে ছিলেন , তখন উনি আহমেদাবাগে নিযুক্ত হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মধ্যেই এখানে যেতেন। ওখানে অনেকটা সময় উনি কাটিয়েছেন। আহমেদাবাদে থাকাকালীন উনি দুটি বাংলা কবিতাও লিখেছিলেন। ক্ষদিতপাষাণের একটা অংশ উনি গুজরাতে বসেই লিখেছিলেন। গুজরাতের এক মেয়ে কবিগুরু বাড়িতে বধূ হিসাবেও এসেছিলেন।"
আরও পড়ুন, রবি-গান থেকে রামকৃষ্ণের ভক্তিবাদ, এক ক্লিকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষে মোদীর ভাষণ
কবিগুরুর সঙ্গে গুজরাতের সম্পর্ক
সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী যখন আহমেদাবাদে থাকতেন তখন উনি দেখেছেন মহিলারা শাড়ির আঁচল ডানদিকে রাখতেন। ফলে মহিলাদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হত। তারপরেই উনি বাকিদের বলে শাড়ির আঁচল বাঁদিকে রাখার কথা। আমার ঠিকঠাক মনে নেই, তবে উনিই সম্ভবত বাঁদিকে শাড়ির আঁচল রাখার কথা বলেছিলেন। এভাবে আমরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। কবিগুরু এমন ভাবনার কথাই সবাইকে বলেছিলেন।"
গুজরাত হতে দেব না, একাধিকবার সোচ্চার মমতা
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন বাংলাতে গুজরাত হবে দেবেন না। তখন মোদীর মুখেই শোনা গেল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গুজরাটের সম্পর্কের কথা। বুধবার সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী ফের সুর চড়িয়েছিলেন এই বিষয়ে। তিনি বলেছিলেন, "বাংলায় এসেই যতই বাংলার নিন্দা কর, বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না। এ রাজ্যে বিভাজনের কোনও স্থান নেই। এখানে সকল মানুষের স্থান রয়েছে। কিছুতেই ভাগ হতে দেব না।"