scorecardresearch
 

৩ দিনে ১৭৮টি পথ কুকুরের মৃত্যু, ব্যাপক চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে

বিষ্ণুপুর পৌরসভা (Bishnupur Municipality) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৬০টি, বুধবার ৮৩টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি কুকুর মারা গিয়েছে। হঠাৎ কী কারণে একের পর এক পথ কুকুর (Street Dog) মারা যাচ্ছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের পৌর প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাম্প্রতিককালে একসঙ্গে এতগুলো কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান দিব্যেন্দুবাবু।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • পথ কুকুরের মৃত্যু বাড়ছে বিষ্ণুপুরে
  • উদ্বিগ্ন পৌর প্রশাসন
  • তদন্তের দাবি পশুপ্রেমীদের

সময় মাত্র ৩ দিন, আর এই ৩ দিনের মধ্যেই মৃত্যু ১৭৮টি পথ কুকুরের (Street Dog)। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। মৃত কুকুরদের দেহ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কার শহরবাসী। অন্যদিকে এতগুলো কুকুরের মৃত্যু কীভাবে হল, সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।   

বিষ্ণুপুর পৌরসভা (Bishnupur Municipality) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৬০টি, বুধবার ৮৩টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি কুকুর মারা গিয়েছে। হঠাৎ কী কারণে একের পর এক পথ কুকুর মারা যাচ্ছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের পৌর প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাম্প্রতিককালে একসঙ্গে এতগুলো কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান দিব্যেন্দুবাবু। অন্যদিকে ধারাবাহিক ভাবে কুকুর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরাও। ঠিক কী কারণে শহরে এই কুকুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে এই বিষয়ে শহরের সরকারি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক মৃণাল কান্তি দে জানান, 'ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় কুকুরের মধ্যে ভাইরাল ইনফেকশানের সম্ভাবনা বাড়ে। পথ কুকুরদের সেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। ফলে ওই ভাইরাল ইনফেকশান থেকেও কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অসুস্থ পোষ্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ চিকিৎসা করাতে আসেননি।' ওই পশু চিকিৎসক বলেন, বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, একইসঙ্গে মৃত কুকুরের ময়নাতদন্তের পরেও রোগ নির্নয় সম্ভব বলে জানান তিনি।

পৌর কর্তৃপক্ষের তরফে কুকুরদের মৃতদেহ শহরের ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে মৃত কুকুরদের দেহ ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ফেলায় আতঙ্কিত অনেকেই। এর ফলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। এখন দেখার সারমেয়দের লাগাতার মৃত্যু ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করে পৌর প্রশাসন। 

Advertisement

 

 

Advertisement