এমপায়ার জুট মিলে (Jute Mill) সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস (Suspension Of Work Notice)। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েলন ২ হাজার শ্রমিক। প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বিটিরোড (BT Road) অবরোধ করে রাখলেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ গিয়ে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকের আশ্বাস দিলে উঠে যায় অবরোধ। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বিটি রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় এই অবরোধের জেরে ব্যাপক সংস্যায় পড়েন অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে মিলের প্রধান গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। দ্রুত খবর ছড়িয়ে শ্রমিকমহলে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। মালিক পক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিটি রোড অবরোধ করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
দিপু কুমার সিং নামে শ্রমিক জানান, "আমরা যখন সকালে মিলে পৌঁছাই দেখি গেটে নোটিস লাগানো। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এই ধরনের নোটিসে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় আমরা বিটি রোড অবরোধ করি। এরপর টিটাগড় থানার ওসি এসে মিল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে আলোচনার আশ্বাস দেন। তারপর তোলা হয় অবরোধ।" এদিকে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যস্ত সময়ে এই অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় বিটি রোডে। সমস্য়ায় পড়েন অফিস যাত্রীরা।
অন্যদিকে রিষড়া ওয়েলিংটন জুটমিলে ইউনিয়ন নেতাকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শ্রমিক অসন্তোষ। প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে দিলেন শ্রমিকরা। পালটা সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ মিল কর্তৃপক্ষেরও। জান গেছে, বেশকিছু দিন ধরেই ইএসআই ও পিএফ নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন ওয়েলিংটন জুটমিলের শ্রমিকরা।গত ১৫ ডিসেম্বর মিলের এক দাড়োয়ান কর্মরত অবস্থায় মারা যান। তার জন্য মিলের ৩টি ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এরপর রবিবার মিলের এআইটিইউসি ইউনিয়নের সম্পাদক ভোলানাথ কর্মকারের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বাদানুবাদ হয়। যার জেরে আজ সোমবার গেটের বাইরে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। সকালে কাজে এসে বিষয়টি জানতে পারেন শ্রমিকরা। এরপরেই সমস্ত বিভাগে কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিকে শ্রমিকদের এই সিদ্ধান্তের পরেই পালটা সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে মিলের সামনে জিটি রোডে অবরোধ করেন শ্রমিকরা। ঘটনায় অশান্তির আশঙ্কায় মিল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।