scorecardresearch
 

প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। গত ১১ই মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে দিন কয়েক চিকিৎসার পর কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই বিগত মাসখানেক ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Advertisement
প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর
হাইলাইটস
  • প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর
  • ভুগেছিলেন করোনাতেও
  • করোনার পরে শারীরিক সমস্যা হয়েছিল তাঁর

প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। গত ১১ই মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে দিন কয়েক চিকিৎসার পর কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই বিগত মাসখানেক ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিবার সূত্রের খবর করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিললেও গত কয়েকদিন ধরে যথেষ্ট অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে একটি অস্ত্রপ্রচারও হয়। তারপর থেকেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সকাল থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। অবশেষে শনিবার রাত পৌনে নটা নাগাদ মৃত্যু হয় এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের।
 
দীর্ঘ বামফ্রন্ট আমলেও বাসন্তীর চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিজের দখলে রেখেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত নস্কর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শুরুর দিন থেকেই। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে গোসাবা বিধানসভায় লড়াই করলেও জিততে পারেননি। তবে ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়াতে এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থীকে হারিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে যেতেন জয়ন্ত। ২০১৬ সালেও এই আসন ধরে রাখে তৃণমূল। জয়ে ভোটের ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এবারও তৃতীয় বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। তেইশ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। 

বিধায়কের মৃত্য়ুর খবররের পরেই শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি জানান, "বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জয়ন্ত নস্করের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ রাতে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ২০১১ সাল থেকে একাদিক্রমে তিনবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রের  বিধায়ক নির্বাচিত হন। সুন্দরবন অঞ্চলের উন্নয়নে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে শূন্যতার সৃষ্টি হল।আমি জয়ন্ত নস্করের পরিবার, পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"

Advertisement

ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের। খড়দা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এবার মৃত্যু হল প্রবীণ রাজনীতিবিদ জয়ন্ত নস্করের। করোনা কাটিয়ে উঠলেও, বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়। পরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Advertisement