বিতরণের শীতবস্ত্র না থাকায় ক্ষুব্ধ, বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চেই বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং মঞ্চ থেকেই বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শীতবস্ত্র এসে না পৌঁছবে, আমি এখানেই বসে থাকব। এরপর যারপরনাই খাপ্পা হয়ে গোমরা মুখে বসে রইলেন মঞ্চে।
শুধু তাই নয়, মঞ্চ থেকেই বি়ডিও, আইসি ও জেলাশাসককে কার্যত তিরস্কার করলেন। বললেন, পুলিশ অন্যায় করলে দোষ পড়ে আমার ঘাড়ে। জেলাশাসকের উদ্দেশে বললেন, তোমার কাছ থেকে এটা আশা করিনি। আমি ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কিনে এনেছি। সেটা যেন মানুষ ঠিক মতো পায়। আমি নিজে দিতে চেয়েছিলাম। যদি বিডিও কাজ না করে তাহলে আমাকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অনেকক্ষণ বসে রইলেন মঞ্চে।
এদিন হিঙ্গলগঞ্জে সামশেরনগরে বনবিবির থানে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর সেখানে জনসভা ছিল। তাঁর সেই সভা থেকেই স্থানীয় মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, আমি এখানে আসব বলে তিন দিন ধরে কেনাকাটা করেছি। ৫ হাজার সোয়েটার, ৫ হাজার চাদর ও ৫ হাজার কম্বল এনেছি। ১৫ হাজার জিনিস এনেছি।
এ কথা বলেই জেলা শাসকের দিকে মুখ ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন ওই জিনিসগুলো কি ওদের দেওয়া হয়েছে। শরদ দ্বিবেদী জবাব দেন না এখনও হয়নি। যেই না সে কথা তিনি বলেন, ওমনি মুখ্যমন্ত্রী চটে যান।
মুখ্যমন্ত্রীর চড়া মেজাজ দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে আসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওদিকে জেলা শাসক কাঁচুমাচু মুখ করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, জিনিসপত্র সব বিডিও অফিসে রাখা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পাল্টা বলেন, আমি তিন দিন ধরে জিনিসগুলো কিনেছি কি বিডিও অফিসে রেখে দেওয়ার জন্য?
এ কথা বলেই মুখ্যমন্ত্রী ফের স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, ওই জিনিসগুলো আপনাদের বিতরণ করা না হওয়া পর্যন্ত কেউ এখান থেকে যাবেন না। আমিও এখান থেকে যাব না। এ কথা বলে চেয়ারে গিয়ে বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহানও। দেখা যায়, ভাব গম্ভীর পরিস্থিতি দেখে নুসরত চুপ করে রয়েছেন।
তবে প্রায় আধঘণ্টা পর শীতবস্ত্র নিয়ে আসা হয় মঞ্চে। শুরু হয় বিতরন। তারপর বলে যান আবার আসব। সবাইকে দেব।
আরও পড়ুন :দেশজুড়ে বাতিল ২০০টি ট্রেন, তালিকায় হাওড়া-শিয়ালদা শাখার বহু লোকাল