বিবাহিত এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এই অভিযোগে এক মহিলার বাড়িতে চড়াও হন এলাকার কয়েকশো মানুষ। তাঁদের নেতৃত্ব দেয় ছিল ওই বিবাহিত যুবকের পরিবার। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে যাঁরা ওই বধূর বাড়িতে চড়াও হন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। ওই ভিড় থেকেই কয়েকজন পরামর্শ দেন, ওই বধূর চুল কেটে নেওয়া হোক। এর পর মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরকীয়ার অভিযোগে এক মহিলার মাথা এবং ভ্রুর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি ওই বধূকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এবং তাঁর বাড়ির আসবাবপত্র লুঠের অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ পদক্ষেপ শুরু করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বধূ। ওই ব্যক্তি বিবাহিত বলে দাবি। এই অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। সঙ্গে এলাকার আরও শতাধিক লোকজন ছিলেন বলে অভিযোগ। যাঁরা ওই বধূর বাড়িতে চড়াও হন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র বলে দাবি বধূর পরিবারের। ওই ভিড় থেকে কয়েক জন বলে, বধূর চুল কেটে দিতে। এর পর মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সমস্ত আসবাব লুটের নিদান দেন কয়েক জন মাতব্বর। তারপর তাঁর বাড়ির খাট, স্টিলের আলমারি, ফ্রিজ, জামা-কাপড় পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যান কয়েক জন বলে অভিযোগ।
ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কয়েকজন বৃহস্পতিবার রাতে করণদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। করণদিঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে নির্যাতিতাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ।