scorecardresearch
 

তাপপ্রবাহের জেরে বালুরঘাট হাসপাতালে চালু হল বিশেষ হিট কর্নার

গরমের মারাত্মক সমস্যা হল হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক হওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচণ্ড গরমের আবহাওয়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইড) ছাড়িয়ে গেলেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন ব্যক্তি। শরীরের তাপমাত্রা যত বাড়বে রক্তনালীর ওপরও তার চাপ বাড়বে। এতে কিন্তু শরীরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে শরীরের অনেক অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সঠিক সময়ে যদি আপনি চিকিৎসা না করান তাহলে মৃত্যুও কিন্তু হতে পারে।

Advertisement
তাপপ্রবাহের জেরে বালুরঘাট হাসপাতালে চালু হল বিশেষ হিট কর্নার তাপপ্রবাহের জেরে বালুরঘাট হাসপাতালে চালু হল বিশেষ হিট কর্নার

গরমে জ্বলছে রাজ্যের একাধিক জেলা। তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক লোকেদের ব্যাপক সমস্য়ায় পড়তে হচ্ছে। রাজ্যের অন্যান্য় অংশের মতো গৌড়বঙ্গের মালদা-দুই দিনাজপুরেও উত্তাপে ঝলসাচ্ছে সাধারণ জনতা। গত প্রায় দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।

গত প্রায় ১৫ দিন ধরে বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে গরম আরও বাড়তে পারে। তীব্র গরমের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন পালটেছে। দিনের বেলা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরতে না করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাপমাত্রা পারদ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তীব্র গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিল বালুরঘাট(Balurghat) জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জরুরি বিভাগ ও এমন রোগীদের জন্য আলাদা চিকিৎসা ঘরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাসপাতালে(Hospital) খোলা হয়েছে হিট কর্নার।

আরও পড়ুন

এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতালগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মতো বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ও পুরোনো এসএনসিউ বিভাগে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হিট কর্নারে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, বরফ, ঠান্ডা জল, স্ট্যান্ড ফ্যান, তোয়ালা, রেকটাল থার্মোমিটারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হিট স্ট্রোকের(Heat Stroke) চিকিৎসা সঠিক সময় করলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তা ছাড়া রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

গরমের মারাত্মক সমস্যা হল হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক হওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচণ্ড গরমের আবহাওয়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইড) ছাড়িয়ে গেলেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন ব্যক্তি। শরীরের তাপমাত্রা যত বাড়বে রক্তনালীর ওপরও তার চাপ বাড়বে। এতে কিন্তু শরীরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। যে কারণে শরীরের অনেক অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সঠিক সময়ে যদি আপনি চিকিৎসা না করান তাহলে মৃত্যুও কিন্তু হতে পারে।

Advertisement

হিটস্ট্রোক হওয়ার লক্ষণ
১. 
প্রচণ্ড গরমে ত্বক শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ত্বক লাল হতে থাকবে। মাথা ঘুরবে, ঘাম হবে না।
২.আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রচুর ঘাম হয়। বমি বমি ভাব থাকবে। আবার অনেকের প্রচুর বমি হয়। পেশি দুর্বল হয়ে যাবে।
৩. কাজের ক্ষমতা কমতে থাকবে। প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ঘুরবে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যান।
৪. খিঁচুনি আসবে, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকবে। এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 

Advertisement