আগামী ১৭ এপ্রিল বুধবার রামনবমী। সেই বিশেষ দিন সম্পর্কে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে মমতার বার্তা, ওই দিন মাথা ঠান্ডা রাখুন। যদি দেখেন ওরা গালাগালি দিচ্ছে তাহলে আল্লার নামে প্রে করবেন।
কোচবিহারের নির্বাচনী জনসভা থেকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলব, যদি দেখেন শ্লোগান দিচ্ছে, ১৭ তারিখ, ওটা ওদের দাঙ্গা করার দিন। আমি মনে করি, ওটা মানুষের সম্মানের দিন হোক। ঐক্যের দিন হোক। গালাগালি দিলে মাথা ঠান্ডা করেও আল্লার নামে প্রে করবেন। ওদের বিদায় চাইবেন। কিন্তু কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের শান্তিরক্ষা করতে হবে। ওরা চাই দাঙ্গা করে NIA ঢুকিয়ে দিয়ে ভোটটা যাতে না হয়। আর ভোটটা যাতে ওরা ছাপ্পা মেরে দেয়।'
প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর দিন অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। শোভাযাত্রার উপর ওঠে হামলার অভিযোগ। সেই ঘটনা কেন্দ্র করে ছড়ায় অশান্তি। চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। একাধিক গ্রেফতারও করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের দিকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কোচবিহারের সভা থেকেই তাই আগাম বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভা থেকে বিজেপি-কে আরও নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মিথ্যাবাদীর দল। তারা দাবি করেছিল ১৫ লাখ টাকা দেবে। কিন্তু তা দেয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, বিজেপি যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তা দেশের মানুষের জন্য কখনও মঙ্গলজনক হতে পারে না।
মমতার দাবি, এই সরকার ক্ষমতায় এলে কারও অধিকার থাকবে না। হিন্দু, মুসলিম, তপশিলি, আদিবাসী, মা-বোনেদের কারও স্বাধীনতা থাকবে না। তারা ক্ষমতায় এলে বলবে, চা খাও সকালে সঙ্গে গো মূত্র খাও। সারাদিনে আপনি কী খাবেন তাও ঠিক করে দেবে ওরা।
মমতার আরও দাবি, 'দেশকে জেলখানা বানিয়েছে বিজেপি। অভিষেকের একটা মিটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাবুরা সেখানে চলে গেছে। হেলিকপ্টারে নাকি সোনার টাকা নিয়ে আসছে। ওসব আমরা করি না। বিজেপি করে। ওরা বিএসএফ-সিআইএসএফ আনে। এরা প্লেনে আনে। কোনও পুলিশের সাহস হয়েছে চ্যালেঞ্জ করার? আমরা এই সব নিয়ে ঘুরি না। আমরা সিস্টেমে চলি। টাকা টাকা না মায়ের কাছে গিয়ে বলব মা গো টাকা দাও।'