scorecardresearch
 

Toy Train Vista dome Coach Restaurant: টয়ট্রেনে ভিস্তাডোমের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ আর রেস্তোরাঁ চুম্বকের মতো টানছে পর্যটকদের

Toy Train Vista dome Coach Restaurant: দার্জিলিং যেতে এবার একটু নতুন অভিজ্ঞতা যদি কেউ নিতে চান তাহলে বুক করে ফেলুন ভিস্টাডোম। ভিস্টাডোম টয় ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে হিমালয়ান রেলওয়েজ। যেখানে ৩৬০ ডিগ্রি পাহাড়ের ভিউ নিতে নিতে যেতে পারবেন। চারিদিকে কাচে ঘেরা। সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাতে আবার রেস্তোরাঁও রয়েছে। বাড়তি খরচ করলে হাতের সামনে এসে যাবে খাবারও।

Advertisement
টয়ট্রেনে ভিস্তাডোমের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ আর রেস্তোরাঁ চুম্বকের মতো টানছে পর্যটকদের টয়ট্রেনে ভিস্তাডোমের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ আর রেস্তোরাঁ চুম্বকের মতো টানছে পর্যটকদের

Toy Train Vista dome Coach Restaurant: বাঙালি জীবনে যদি কোথাও ঘুরতে নাও গিয়ে থাকে, তাহলে সে সবার আগে দিঘা আর পুরীতে যাবেই। বেশিদূর না হওয়াতে মাত্র ২ দিন হাতে ছুটি থাকলেই দার্জিলিং চলে যাওয়া যায়। এক দশক আগেও শুধু গরমে আরাম পেতেই পাহাড়ে যেত মানুষ। এখন শীতেও দৌড়য় তুষারপাত দেখতে। তুষারপাত যদি দেখা নাও যায়, তাতেও কী আসে যায়? কনকনে ঠান্ডা উপভোগ করে চলে আসতে কেউ আটকাবে না। দার্জিলিংয়ের ভিড় তাই কোনও মরশুমেই কমে না। আর দার্জিলিংয়ে কয়েকদিন কাটানোর জন্য় বিনোদনও কম নেই। টয়ট্রেন, থেকে রোপওয়ে, চিড়িয়াখানা, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস কী নেই। আর কিছু যদি নাও চাপেন বা দেখেন, তাহলেও কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ দেখেই সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়।

ভিস্তাডোমের মজা

তবে পর্যটকদের আরও বেশি করে কীভাবে বিনোদন ও আকর্ষণ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সব সময়  সচেষ্ট থাকেন স্টেক হোল্ডাররা। যেমন টয়ট্রেনকে প্রতিবার নানা রকম করে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। এমনই একটি উদ্যোগ হল ভিস্তাডোম কোচ। যা টয়ট্রেনের সঙ্গে গত বছর থেকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যার আকর্ষণ দারুণ অমোঘ। যাঁরা ২ বছর আগে শেষ দার্জিলিং গিয়েছেন, তাঁরা এই আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি।

রয়েছে রেস্তোরাঁও

এই দার্জিলিং যেতে এবার একটু নতুন অভিজ্ঞতা যদি কেউ নিতে চান তাহলে বুক করে ফেলুন ভিস্টাডোম। ভিস্টাডোম টয় ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে হিমালয়ান রেলওয়েজ। যেখানে ৩৬০ ডিগ্রি পাহাড়ের ভিউ নিতে নিতে যেতে পারবেন। চারিদিকে কাচে ঘেরা। সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাতে আবার রেস্তোরাঁও রয়েছে। বাড়তি খরচ করলে হাতের সামনে এসে যাবে খাবারও।

শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন থেকে ছাড়ে ভিস্টাডোম টয়ট্রেন। সকাল ১০টায় শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ে টয়ট্রেনের এই ভিস্টাডোমটি। ঝকঝকে তকতকে সাজানো গোছানো এসি কামরা। শীতের সময় পয়সা বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন নন এসি নিয়ে। কারণ শিলিগুড়িতেই এখন ঠান্ডা ঠান্ডা। শহরের ধোঁয়া-যানজট ছাড়িয়ে গেলেই এসির প্রয়োজন ফুরোবে। চেয়ারগুলিও বেশ আরামদায়ক। মোট ১৫টি সিট রয়েছে এই ভিস্টাডোম টয় ট্রেনে। সঙ্গে খাবারের বন্দোবস্ত রয়েছে। পাহাড় উপভোগ করতে করতে যেতে পারবেন। উপরে ঝকঝকে নীল আকাশ। কোনও দিক দিয়েই দৃশ্য ফাঁকি যাবে না।

Advertisement

ধীরে ধীরে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উঠবে ট্রেন। তার সঙ্গে অসাধারণ সৌন্দর্য। পথে সুকনা স্টেশনে হল্ট দেয় ট্রেনটি। সপ্তাহে তিনদিন এই ট্রেনের পরিষেবা পাওয়া যায়। সোম, বুধ এবং শনিবার। সকাল ১০টায় রওনা হয় ট্রেনটি। দার্জিলিং পৌঁছয় সাড়ে ৬.৩০ নাগাদ। শীতের পাহাড়ে ৫ টা বাজলে সন্ধ্যা লেগে যায়। ফলে শেষের দিকে অন্ধকার চিরে আলোর বিন্দু দেখতে দেখতে পৌঁছবেন দার্জিলিংয়ে। কখনও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আবার কখনও রাস্তার গা ঘেঁসে চলতে থাকে ট্রেন। এর চেয়ে মনোরম ট্রিপ খুব কমই মিলবে।

ভিস্তাডোম কোচ এখন দারুণ জনপ্রিয়

গত বছর পুজোর আগে চালু হয়েছিল এই ভিস্তাডোম কোচ। তারপর থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ভিস্তাডোম কোচ হওয়ায় এবার ট্রেনে বসেই চারিদিকে আরও বেশি করে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। 

ভাড়া কত?

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার  ভিস্তাডোম কোচের ভাড়া রাখা হয়েছে যাত্রী পিছু ১৫০০ টাকা। রেস্তোরাঁ কোচের ভাড়া ১৩০০ টাকা।

 

Advertisement