Malda Multiple Murder Case: স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি স্বামী। কুড়ুল দিয়ে নিজের স্ত্রীকে কোপাতে শুরু করে। স্ত্রীর বৌদি বাধা দিতে এলে পরপর তিন জনকে কোপায় যুবক। এরপর আশপাশের লোকজন চলে এলে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাড়ির ছাদ ডিঙিয়ে পালানোর সময় মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তাকে পড়শিরা মারধর করেছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পালানোর সময় উত্তেজিত জনতার হাতে ধড়া পড়ে অভিযুক্ত। সেই সময় তাকে পিটিয়ে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় শনিবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদহের ইংরেজবাজার থানার বাধাপুকুর এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ আপেল খান সাবধানে, নইলে হতে পারে মৃত্যুও
পুলিশ জানিয়েছে, কুড়ুলের কোপে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী-সহ ২ জনের। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মৃত ব্যক্তির নাম টুবাই মণ্ডল (৩৫)। পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্তের স্ত্রীর বৌদি দিপ্তী সিংহ মণ্ডল ( ২৪) ও ভাগ্নি লক্ষ্মী মণ্ডলের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী নির্মলা মণ্ডল। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই টুবাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি চলছিল। এই নিয়ে স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি টুবাই ভিন রাজ্য কাজ করতে গিয়েছিল। সে সময় বাপের বাড়ি এসে থাকতেন স্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর কাছে শ্বশুরবাড়িতে আসে যুবক। অভিযোগ, নির্মলাদেবী শ্বশুর বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হননি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের বিবাদ শুরু হয়। সেই সময়ই অভিযুক্ত টুবাই মণ্ডল বাড়িতে রাখা কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীর ওপর চড়া হয়। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। সে সময় তাকে বাঁচাতে ছুটে আসে তাঁর দাদার স্ত্রী ও বাড়িতে থাকা ১৪ বছরের ছোট্ট ভাগ্নি। অভিযুক্ত ওই দুজনকেও কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। বাড়ির ভিতরে চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আশেপাশের বাসিন্দারা। সে সময় বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত টুবাই। তিনজনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ির মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ইংরেজ বাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনে।