Kolkata-Alipurduar New Bus: আর পাঁচটা জঙ্গলের মতো ডুয়ার্সে ঘোরার সেরা সময় বসন্তই। এই সময় জঙ্গলে গাছপালা অনেকটা ফাঁকা থাকে। শীতে পাতা ঝরার পর অনেকটাই ঘনত্ব কমে যায় বনের। তখন জন্তু-জানোয়ার দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই। তাই অনেকে এই সময় জঙ্গলে ঘুরতে যান। আর রাজ্যের জঙ্গলের মধ্যে নিরাপদ ও আকর্ষণীয় উত্তরের জঙ্গল। তাই পাহাড়ের সঙ্গে অনেকেই এক ঢিলে জঙ্গলও ঘুরে যান। কিন্তু অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও ঘুরতে যান না, তার কারণ হল আর্থিক চাপ। একে মাসের শেষ, তার উপর ঘোরার খরচ প্রচুর। তাই অনেকেরই মুখ ভার। তবে তাঁদের জন্য ঘুরতে গিয়ে থাকার একটা সহজ এবং সস্তা বন্দোবস্ত রয়েছে।
ট্রানজিট পয়েন্ট চালসা
ডুয়ার্সে যদি গরুমারায় ঘুরতে আসেন, তাহলে একেবারে সেন্টার হল চালসা। চালসা থেকে একদিকে গরুমারা-লাটাগুড়ি হাতের নাগালে। আবার বাঁ দিকে পাহাড়ে ওঠার শুরু মেটেলি, সামসিং, রকি আইল্যান্ড, সুনতালেখোলা হয়ে নেওড়ার জঙ্গল। ফলে এটিকে ট্রানজিট পয়েন্ট বলতে পারেন। আবার এখান থেকেই ১ ঘন্টার দূরত্বে জলদাপাড়াতে পৌঁছে যেতে পারবেন। আর এখানেই সহজে সস্তায় থাকতে পারবেন। মূর্তি , নেওরা , কুর্তি , মাল , জলঢাকার মাঝে চালসা। মাল থেকে যে রাস্তা সোজা নাগরাকাটা গিয়েছে সেই রাস্তায় মাল শহর থেকে ৮ কিমি এগোলেই চালসা মোড় ।
টিয়াবন
এবার এই মোড়ে ডান দিকে বাঁক নিয়ে সোজা লাটাগুড়ি যাওয়ার রাস্তা ধরে ২ কিমি এগোলেই শুরু হবে টিয়াবন। প্রায় ৩ কিমি দীর্ঘ এই ছোট্ট অথচ ঘন শালের জঙ্গলের মাঝে একপাশে অবস্থিত এই ইয়ুথ হোস্টেল। এখান থেকে উত্তর ধূপঝোরা হয়ে মূর্তির পাড়ের দূরত্ব ৩ কিমি মাত্র। ঘন শালের জঙ্গলের উপকন্ঠে অবস্থানের জন্য জঙ্গলের পরিবেশ এখানে সুনিবিড়। টিয়া বনে অসংখ্য টিয়ার ডাক নামের সার্থকতা বোঝায়।
মাত্র ২৫০ টাকায় ডুয়ার্সে থাকার বন্দোবস্ত
মাত্র ২৫০ টাকা থেকে এখানে থাকতে শুরু করতে পারেন। সর্বাধিক ১০০০ টাকা থাকার ব্যবস্থা। সরকারি যুব আবাসে দুর্দান্ত থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। এটি সব দিক থেকেই অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত। সস্তার থাকার জন্য ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই আবাসটি।
কেমন ব্যবস্থা?
৩৭ টা রুম আছে এখানে। সিঙ্গেল বেড, ডাবল বেড রুম, আর ভিআইপি রুম আছে। এসি, নন এসি রুমের ক্যাটাগরি শুরু হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে। এ ছাড়া ৬০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা। এখানেই সুন্দর খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। সঙ্গে বাড়তি হিসেবে রয়েছে অপার্থিব ভিউ। অনলাইনেই বুকিং করা যাবে ইউথ হস্টেলের সাইট থেকে।
কীভাবে আসবেন?
এখানকার নিকটবর্তী জংশন স্টেশন মালবাজারে নিউ মাল জংশনের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। স্টেশনে নামলেই প্রচুর টোটো-অটো-ট্যাক্সি আপনাকে পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। এছাড়া এনজেপিতে নেমে গাড়ি রিজার্ভ করে আসতে পারেন, ট্রেনে মালবাজার কিংবা কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চালসাতেও নামতে পারেন। তবে সেই ট্রেন খুব কম। জলপাইগুড়ি বা ময়নাগুড়ি স্টেশনে নেমেও আসতে পারেন দূরত্ব বেশি নয়।