Bhangar Clash Between ISF and TMC: আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও আব্বাস সিদ্দিকির সংগঠন আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড় (Bhangar)।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় (Bhangar) থানা এলাকার বড়ালি মালঞ্চ এলাকায়। যার জেরে রবিবারও উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় আহলে সুন্নাতুল জামাতেরর নেতা তথা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির এক অনুষ্ঠান ছিল।
অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান ভেস্তে দিতে তৃণমূল আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিতে থাকে। সেই থেকেই গোলমালের শুরু।
আসাদুল মোল্লা নামে এক আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে ভাঙড় জুড়ে। রবিবার দুপুর দু'টোর সময় আব্বাস সিদ্দিকী সভা ছিল ভাঙড়ের পদ্মপুকুর এলাকায়।
ভাঙড়ের নতুন ব্রিজের মুখে বিশাল পুলিশবাহিনী দাঁড়িয়ে সমস্ত গাড়ি আটকে দিচ্ছে। কাশীপুর থানা এলাকা থেকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট কর্মীরা যাতে ঢুকতে পারে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তাঁদের।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে নতুন ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায়। কী কারণে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ, দাবি করেছেন তাঁরা।
আব্বাস সিদ্দিকী দুপুর ২ টো নাগাদ আসবেন বলে খবর ছিল। সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মাকসুদ হাসান সহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। সভা হওয়ার মাঠে চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের ফুটবল খেলা।
ভাঙড়ে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীদের ওপর হামলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাঙ্গরের পদ্মপুকুর এলাকায় যাচ্ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি।
ভোজেরহাট থেকে অনুগামীদের নিয়ে পদ্মপুকুর যাওয়ার পথে তার অনুগামীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা ভোজেরহাটে কার্যত রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।