বর্ষাকালে তেলেভাজা খেতে কার না ভালো লাগে। আর তার দাম যদি সাধ্যের মধ্যে হয়, তাহলে তো কথায় নেই। সস্তা বলে সস্তা! যাকে বলে একেবারে জলের দর।
দাম শুনলে চমকে উঠবেন। মাত্র ১ টাকা। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। আলুর চপ, সিঙারা, পেঁয়াজি, বেগুনি থেকে ডালবড়া -এই সব পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ টাকায়।
আর তা কিনতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় উপচে পড়েছে দোকানে। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পাঁচড়া গ্রাম। সেখানেই বাড়ি হিমাংশু সেনের।
বাড়ি লাগোয়া একটি টালির চালের দোকান তাঁর। সেখানেই বিগত কয়েক দশক ধরে বিক্রি করছেন চপ-তেলেভাজা। এই তো কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তেলেভাজা বিক্রি করতেন মাত্র ৮০ পয়সায়।
তবে এখন অবস্থা বদলেছে। দাম বেড়েছে জিনিসপত্রের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। প্রতিদিন দুপুর ৩ টে থেকে দোকান দেন হিমাংশুাবাবু। বিক্রিবাট্টা চলে সেই রাত পর্যন্ত।
শুধু যে জামালপুর থেকেই তাঁর কাছে গ্রাহক আসে তা নয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তেলেভাজার স্বাদ চেখে যান। কম দাম হলেও বেশ সুস্বাদু বলে প্রশংসাও করেন তাঁরা।
আর এই ব্যবসা করেই গ্রামের বিত্তশালীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন হিমাংশু সেন। বানাচ্ছেন দো-তলা বাড়ি। পড়াশোনাও করিয়েছেন ছেলে-মেয়েকে। দিনে রোজকার? তাও কম করে ৫০০-৭০০ টাকা।
দেখে শুনে অনেকেই বলছেন, এ তো রীতিমতো চপ শিল্প। চপ বিক্রি করে এত টাকা আয় যে সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ওই ভদ্রলোক।