১৫ বছরের নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে ২৫ বছরের যুবতীর প্রেম ও বিয়ে। স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা প্রেমিকার। মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গিধিনপুকুর গ্রামের ঘটনা। যদিও ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ছেলের বিয়ে হয়েছে বলে মানতে নারাজ প্রেমিকের মা। ঘটনাটিকে ঘিরে বেশ সরগরম গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, রং নাম্বারে ফোনকলের মধ্যে দিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় ওই যুবতী ও নাবালকের। এরপর ধীরে ধীরে কথাবার্তা বাড়তে থাকে দু'জনের। একসময় তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে।
যুবতীর দাবি, ইসলামিক শরিয়ত মেনে বছরখানেক আগে গোপনে বিয়েও করেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় বলে দাবি ওই যুবতীর। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বেসুরো গাইতে থাকে প্রেমিক। যুবতীকে স্ত্রীয়ের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করে সে।
অন্যদিকে স্ত্রীয়ের মর্যাদা পেতে বদ্ধপরিকর যুবতীও। অবশেষে বুধবার প্রেমিকের বাড়িতে পৌঁছান ওই যুবতী। কিন্তু প্রেমিকের মা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর। এরপরেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তিনি। প্রেমিকের সঙ্গে নিজের ছবিও প্রকাশ্যে আনেন যুবতী।
এদিকে যুবতীর দাবি মানতে নারাজ প্রেমিকের মা নুরসেরা বিবি। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে নাবালক, বয়স ১৫ বছর। ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাঁদের যদি বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে সেই প্রমাণ দেখানরও দাবি তোলেন প্রেমিকের মা।
নুরসেরা বিবির পালটা অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে তাঁর ছেলেকেই মেয়েটি ও তার পরিবারের লোকজন অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটকে রেখেছিল। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।