শীতের আমেজ। আর তার মাঝেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'র প্রমাদ গুনছিলেন অনেকেই। কিন্তু শেষমেশ পূর্বাভাস মতোই, বাংলাদেশের দিকে ল্যান্ডফল হয় মিধিলির। শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মিধিলি শেষ হয়। আর ল্যান্ডফলের পরপরই দ্রুত শক্তি হারায় ঘূর্ণিঝড়। মিধিলি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রশাসন, হাওয়া অফিস অ্যালার্টের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ খুব বড় ঘুর্ণিঝড় হয়নি। উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যেই প্রভাব সীমাবদ্ধ ছিল।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলাতে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতই বেশি। আকাশ ছিল মেঘলা। দিনেরবেলায় জোরে হাওয়ায় বয়েছে বহু স্থানে। কিন্তু বিষয়টা এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মিধিলি ঘূর্ণিঝড়ের কোনও বড়সড় প্রভাব এই গাঙ্গেয় বঙ্গে পড়েনি।
শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ লাগোয়া, পূর্বের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃষ্টি, আর্দ্রতা ও আকাশে মেঘের কারণে দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজে কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ফলে কিছুটা হলেও গরম ভাব, অস্বস্তি থাকতে পারে। তবে একইসঙ্গে হালকা বৃষ্টি ও হাওয়ার কারণে বাতাসে শিরশিরানি ভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।