scorecardresearch
 

মেয়ের জন্মদিনে রক্তদান শিবির শিক্ষক বাবার, কমিউনিটি কিচেনও

এ এক অন্য জন্মদিন। অন্য ভাবে জন্মদিন পালন। যেখানে কেক কাটার পাশাপাশি হল রক্তদান শিবির (Blood Donation Camp)। শুরু হল কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen)-ও। রবিবার এমন ছবি দেখা গেল নদীয়া (Nadia)-র কৃষ্ণনগর (Krishnanagar)-এ। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রক্তদাতা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি, এলাকার মানুষজন।

Advertisement
মেয়ে সর্বাত্মিকা দাসের জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষক সৌগত দাস। ছবি: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোরপাধ্যায় মেয়ে সর্বাত্মিকা দাসের জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষক সৌগত দাস। ছবি: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোরপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • এ এক অন্য জন্মদিন
  • যেখানে কেক কাটার পাশাপাশি হল রক্তদান শিবির। শুরু হল কমিউনিটি কিচেনও
  • রবিবার এমন ছবি দেখল নদীয়ার কৃষ্ণনগরে

এ এক অন্য জন্মদিন। অন্য ভাবে জন্মদিন পালন। যেখানে কেক কাটার পাশাপাশি হল রক্তদান শিবির (Blood Donation Camp)। শুরু হল কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen)-ও। রবিবার এমন ছবি দেখা গেল নদীয়া (Nadia)-র কৃষ্ণনগর (Krishnanagar)-এ। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রক্তদাতা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি, এলাকার মানুষজন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়ের জন্মদিনে রক্তদান শিবির ও কমিউনিটি কিচেন শুরু করলেন শিক্ষক বাবা। রক্ত সংকট কাটাতে তাঁর এমন উদ্যোগ। করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে দীর্ঘদিন লকডাউন চলেছিল। আর এর জেরে লকডাউনের শুরু থেকেই অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংক প্রায় শূন্য।

আর তাই এই সিদ্ধান্ত। ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তশূন্যতা মেটাতে নিজের মেয়ে সর্বাত্মিকা দাসের জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষক সৌগত দাস। কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান-এর সহযোগিতায় ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার কৃষ্ণনগর শহরের ইন্দিরা পল্লীতে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরের।

এদিনের রক্তদান শিবিরে ২৯ জন রক্তদান করেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জীবনের প্রথমবার রক্তদান করলেন। রক্তদাতা মধ্যে ৮ জন ছিলেন মহিলা। রক্তদাতাদের মধ্যে ছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম রমেন পাইন। তিনি দৃষ্টিহীন। সে-সব উড়িয়ে ধীরে সুস্থে চলে এসেছিলেন রক্তদান শিবিরে।
 
এছাড়াও পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় এলাকার সমাজসেবী 'মনিমা'র সাহায্যে কমিউনিটি কিচেনেরও আয়োজন করা হয়। এলাকার ১৫০ জন শিশুর দুপরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পাত পেড়ে খেল তারা। সারাদিন গমগম করছিল ওই এলাকা। পরিবারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের নাগরিকবৃন্দ।

রক্তদাতা সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটা ঠিক কথা করোনাভাইরাসের সংক্রমণর ভয়ে শিবির করতে গিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছে। লকডাউনের সময় অনেক বাধা এসেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। অনেক জায়গায় শিবিরের আয়োজন কর হচ্ছে। ফলে রক্ত নিয়ে চিন্তা কিছুটা কমেছে। ওই শিক্ষক যে ভাবে তাঁর মেয়ের জন্মদিন পালন করলেন, তা প্রশংসনীয়। আশা করি, এই উদারহণ দেখে অনেকে রক্তদান শিবির করতে এগিয়ে আসবেন।

Advertisement

 

Advertisement