বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ! আর এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দের ফলে এই ঘটনা। এই ঘটনার জেরে দলেরই আর এক গোষ্ঠীর নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ঘটনা।
আহত ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা এলাকায় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। দলেরই আর এক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় আহত তৃণমূল নেতা গিয়েছিলেন বাজারে। তিনি সবজি কিনছিলেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী। তিনি ওই পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ছিলেন। গ্রামের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ এই ঘটনার পেছনে দায়ী তার বিরোধী বলে পরিচিত অরিজিতা শীল এবং তাঁর স্বামী সোনা শীল। অরিজিতা এখন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক। এদিন আদিত্য বাজারে সবজি কিনছিলেন। আর তখন এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
আরও জানা গিয়েছে, এই কাজে ভাড়াটে খুনি কাজে লাগানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান পুলিশের। বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয়েছে। আদিত্য নিয়োগীর পিছনের দিকে গুলি করা হয়েছে। তাঁর কোমরে গুলি লেগেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, আদিত্য নিয়োগীর অনুগামীরা এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
আরও অভিযোগ, এলাকায় ভাঙচুর চালায় তারা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এর আগেও বেশ কয়েক বার এমন ঘটনা ঘটেছে। শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে বার বার এমন ঘটনা থামানোর জন্য বলা হয়েছে। দলের নেতা থেকে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমন কাজ করা যাবে না। তবে কাজের কাজ বিশেষ হয়নি।
এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা দেখা হচ্ছে। কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষদের সঙ্গে। আদিত্যবাবুর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানা গিয়েছে।