দোল খেতে গিয়ে গলায় ফাঁস ! হাবড়ার মৃত্য়ু বালকের

খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক বালকের। সে সময় দোলনা (Cradle)-য় খেলছিল সে। গলায় ফাঁস লেগে মারা যায় সে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas)-র হাবড়া (Habra)-য়। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার বিকেলে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলনায় দোল খেতে খেতে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই বালকের। তার বয়স ১১ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া থানার দক্ষিণ হাবড়ার পল্লীমঙ্গল এলাকায়।
 
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে। নিজের ঘরেই দোলনায় দোল খাচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সোহন দাস। তার বাবা ধনঞ্জয় দাস ব্যাগ তৈরীর ব্যবসায়ী। নিজের বাড়িতেই তার ব্যবসা। বাড়ির ওপর তলায় ব্যাগের কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বাড়ির তিলতলায়। শিশুটিকে খাটের ওপর পড়াতে বসিয়ে মা-ও চলে যান ওপরের তলায়। ছোট্ট সোহন যাতে খেলতে পারে, তাই তার মা-ই ওই দোলনা তৈরি করে দিয়েছিল। তা যে তার প্রাণ কাড়বে, কে জানত!

কিন্তু হঠাৎই দোলনায় দোল খাওয়ার সময় গলায় ফাঁস লেগে যায় শিশুটির। খানিক বাদে ওপরের তলা থেকে নিচে এসে ছেলেকে দোলনার সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখেন মা। রীতিমতো ঘাবড়ে যান তাঁরা। এরপর ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা সোহনকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

এই ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকার মানুষজন ভাবতেই পারছেন না এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সোহনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসতে পাঠানো হয়েছে।

সোহমের দিদা শম্পা দাস জানান, খেলতে গিয়ে দোলনায় ফাঁস লেগে মারা গেছে। ওর মা কারখানার কাজ করতে তিন তলায় ছিল। ওর বয়স ১১ বছর। খেলার জন্য তার মা কাপড় দিয়ে একটা দোলনা বানিয়ে ছিল। সেটাতে ফাঁস লেগে মারা যায়। পরে উপর তলা থেকে নিচে এসে দেখে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় হাঁটু গেড়ে সে নীচে পড়ে রয়েছে।