বিজেপির মিছিল হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত তৃণমূল। সোমবার কলকাতার টালিগঞ্জে বিজেপির মিছিলে তারা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিন কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এদিন টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপরে হাজরা মোরে বিজেপির সভা আয়োজন করেছিল। অভিযোগ, চারু মার্কেট থানার সামনে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। উড়ে আসে একের পর এক ইঁট। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। কারণ তাদের হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ছিল। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে বিধানসভা ভোটে ভালো কিছু করতে পারবে না আর তাই ভয় পেয়ে তারা বিজেপির উপর হামলা চালাচ্ছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কলকাতায় মিছিল ছিল বিজেপির। তৃণমূল হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির মিছিলের চরিত্ররা হয় বলে অভিযোগ। সেই সোমবার, সেই বিজেপির কর্মসূচি সেই হামলার অভিযোগ। এবারও অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। ওই মিছিলে শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁরা যোগ দেননি। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে বৈশাখী জানান, তিনি অসুস্থতার কারণে যোগ দিতে পারেননি। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
হাজরা মোড়ে সাধারণত বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তৃণমূল কর্মসূচি নিয়েছে। বিজেপির এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপির কর্মসূচিতে একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর আগে যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাচ্ছিলেন। তখন তার কনভয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় জে পি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় মুকুল রায়ের মতো বিজেপি নেতারা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবী দলের। এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল।