scorecardresearch
 

এক ক্লিকেই লক্ষ্ণণভোগ, ফজলি, হিমসাগর চলে আসবে বাড়িতে!

কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে মালদার আম এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হল। তা-ও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারি। জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদিত মালদার বিখ্যাত লক্ষ্ণণভোগ, ফজলি, হিমসাগর, ল্যাংড়া-সহ বিভিন্ন আম এবার ঘরের দুয়ারে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement
মালদার বিখ্যাত সব আম এবার অনলাইনে মিলবে। ছবি: মিল্টন পাল মালদার বিখ্যাত সব আম এবার অনলাইনে মিলবে। ছবি: মিল্টন পাল
হাইলাইটস
  • মালদার আমের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না
  • সেই আম মিলবে অনলাইনে
  • তা-ও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারি

বাংলায় গরম মানে ফলের ঝাঁপি খুলে যাওয়া। তার মধ্যে সবার আগে রয়েছে আম। আর মালদার আমের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই আম মিলবে অনলাইনে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে মালদার আম এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হল। তা-ও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারি। জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদিত মালদার বিখ্যাত লক্ষ্ণণভোগ, ফজলি, হিমসাগর, ল্যাংড়া-সহ বিভিন্ন আম এবার ঘরের দুয়ারে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কোনও বেসরকারি উদ্যোগে নয়, সরকারি উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার মাধ্যমে আদিবাসি মহিলাদের স্বয়ম্বর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণে আম প্যাকিংয়ের জন্য এবং ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য গাছও দেওয়া হয়েছে।

যার ইতিমধ্যে পরিচর্যা শুরু করেছে আদিবাসী মহিলারা। প্রাথমিক ভাবে মালদায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলেও আগামী দিনে রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালু হবে এই পরিষেবা। এই পুরো প্রকল্পে মাঠে নেমে কাজ করছেন মালদার আধিবাসী মহিলারা।

স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলা এলিজা ফেতরা জানান,আদিবাসী প্রভাবিত হবিবপুর এলাকায় কাজের অভাব রয়েছে। সংসারে যথেষ্ট অভাব ছিল। এই সংস্থায় এখন কাজ শিখেছি। আম গাছ দিয়েছে।
 
তিনি জানান, সেগুলির পরিচর্যা করছি। আম চাষ শিখেছি। গাছের আম উৎপাদন হচ্ছে। আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে। হাতে টাকা আসছে। মিটছে সংসারের সমস্যা। আগামী দিনে আশা করছি এই আয় আরও বাড়বে।

 
কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্রের মালদায় কর্মরত এক বিজ্ঞানী অন্তরা দাস জানান, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আদিবাসী মহিলাদের দু'টি স্বয়ংম্বর গোষ্ঠী কাজ করেছে। স্থানীয় বাজারে আমের যে মূল্য থাকবে, অনলাইন আমের মূল্য একই থাকছে। সেক্ষেত্রে দামের পরিবর্তন হবে না।

Advertisement

তিনি আরও জানান, মূলত মহিলাদের পারিশ্রমিকের মূল্য হিসাব করে আমের দাম ঠিক করা হবে। তিনি জানান, বাইরের আমে যে কার্বাইড অথবা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, এক্ষেত্রে তা হবে না। তাদের উদ্যোগে তৈরী করা আমে তা থাকবে না।

তিনি বলেন, ফলে একেবারে টাটকা আম পাওয়া যাবে। যা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে। অনলাইনে বিক্রি করার জন্য অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপে কোন প্রজাতির আম কত পরিমাণে নেবেন, তা অ্যাপলোড করলেই আপনার বুকিং হয়ে যাবে। তারপর সেই আম আপনার নিদিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।

 

Advertisement