সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হওয়ার প্রতিবাদে পাহাড় অচল করার ডাক জিটিএ (GTA) সদস্যদের। পাহাড় আলাদা কেন হবে না, সেই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিকে সেইদিন থেকেই শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই বনধের ডাক দেওয়ার পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মাঝে এবার বনধ নিয়ে বড় হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
উত্তরবঙ্গে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, 'ছাত্রছাত্রীরা আমাদের ভবিষ্যত, কেউ রাস্তায় বসে পড়ল, আর একটা ছাত্রছাত্রী স্কুলে গিয়ে পৌঁছতে পারল না, তার দায়িত্ব কে নেবে? কেউ যেন ভুলেও একাজ করবেন না। আমি সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বলব। কেউ কেউ আছে, বছরে একবার করে বনধ করতে হয়। যদিও বনধ পলিটিক্স এখান থেকে উঠে গেছে। বাংলায় আমরা বনধ করতে দিই না। বাংলাকে খোলা রাখতে হবে। খোলা রাখলেই চাকরি হবে, ইন্ডাস্ট্রি হবে, ট্যুরিজম বাড়বে, উন্নয়ন বাড়বে, রাস্তা চলবে, গতি চলবে, বাস চলবে, পড়াশোনা চলবে, সবকিছু চলবে। তবেই তো বাংলা এগিয়ে যাবে। আর যদি কেউ মনে করে, আমার পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম, ৫ বছরে একবার, বনধ করে দেখাই আমার ক্ষমতা, আমি পরিষ্কার বলে যাচ্ছি কোনও বনধ হবে না। বনধ করলে আমরা সমর্থন করব না'।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'আমি আরও শুনেছি পাহাড়ে কেউ মাঝে মাঝে জাগে। উন্নয়নের জন্য জাগে না, কীভাবে বন্ধ করা যায়, অশান্তি করা যায়। আমি পরিষ্কার ইনস্ট্রাকশান দিচ্ছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে, ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, যদি কেউ বঙ্গভঙ্গ নিয়ে আন্দোলন করতে যায়, আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু আইন মেনে চলতে হবে। আইন যদি কেউ হাতে নেন, তাহলে গর্ভমেন্ট তাঁকে রেয়াত করবে না, সে যেই হোক'। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, বনধ সমর্থন করি না, এটা আমাদের পলিসি, আজ ১১ বছর দেখিয়ে দিয়েছি। কলকারখানা বন্ধ পছন্দ করি না। তেমনই মনে রাখবেন, আমরা বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। আজ ভাষা দিবসে, সব ভাষাভাষীদের একটাই শপথ-অঙ্গিকার'।
আরও পড়ুন - প্রবাসে বিপদে? অভিযোগ জানাতে বাঙালিদের জন্য নয়া ওয়েবসাইট রাজ্যের