রবিবাসরীয় ব্রিগেড সমাবেশের পর থেকেই বাম শিবিরে 'মুখ' হয়ে উঠেছেন তিনি। ৭ জানুয়ারি DYFI-এর ব্রিগেডে তিনিই ছিলেন 'ক্যাপ্টেন'। সেই তিনিই কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে শামিল হবেন? তিনি, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। লোকসভার লড়াইয়ে বামেদের প্রার্থী করা হবে মীনাক্ষীকে? এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ বার মুখ খুললেন স্বয়ং মীনাক্ষী। বুধবার bangla.aajtak.in-এ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের কোর্টেই বল ঠেললেন বাম যুবনেত্রী।
মীনাক্ষী কি প্রার্থী হচ্ছেন?
গত বছরের শেষ দিকে ৫০ দিন ধরে বামেদের 'ইনসাফ যাত্রা'য় মীনাক্ষীকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তার পরেই ব্রিগেড ময়দানে জনজোয়ার এবং মীনাক্ষীর বার্তায় উদ্বেলিত হয়েছে বাম শিবির। অনেক বামপন্থীই মীনাক্ষীর উপর আস্থা রেখে বাংলায় 'কামব্যাকের' স্বপ্ন দেখছেন। ব্রিগেড-মঞ্চে 'কামব্যাকের লড়াইয়ের' ডাকই দিয়েছেন মীনাক্ষী। এর পর থেকেই মীনাক্ষীকে লোকসভার লড়াইয়ে প্রার্থী করা হবে কি না, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষীর জবাব, 'আমি ডিওয়াইএফআইয়ের এক জন কর্মী। ডিওয়াইএফআই কাউকে কোথাও ভোটে দাঁড় করায় না। ব্রিগেড সমাবেশ ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের।'
ভোটে লড়তে কি প্রস্তুত মীনাক্ষী?
এই প্রশ্নেও বিশেষ ভাঙেননি বাম যুবনেত্রী। বলেছেন, 'ভোটে দাঁড় করায় সিপিএম এবং রাজনৈতিক দলগুলি। এই প্রশ্নের উত্তর সিপিএম দিতে পারবে বা কোনও রাজনৈতিক দল।' পাশাপাশি, ব্রিগেড সভা নিয়ে মীনাক্ষীর মন্তব্য, 'ব্রিগেড সমাবেশ ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের।বামপন্থী মানুষরা এসেছিলেন। ডিওয়াইএফআই রাজনৈতিক সংগঠন নয় তো। যাঁরা বার্তা নেওয়ার নিয়ে গিয়েছেন।'
মীনাক্ষীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-এ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এই নিয়ে আলোচনার এখনও সময় হয়নি। সময় হলে জানাব।'
ভোটে এর আগেও লড়েছেন মীনাক্ষী। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে হেভিওয়েট কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী করা হয়েছিল মীনাক্ষীকে। সেই লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন মীনাক্ষী। এক দিকে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। আর তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত মমতা বনাম শুভেন্দুরই দ্বৈরথ ছিল নন্দীগ্রামে। ভোটে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন মীনাক্ষী। কঠিন লড়াই জেনেও নন্দীগ্রাম আঁকড়ে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। ভোটে পরাজয়ের পরও নানা আন্দোলনে থেকেছেন মীনাক্ষী। সেই মীনাক্ষীকেই এখন লড়াইয়ের 'মুখ' হিসাবে চাইছেন বামপন্থীদের একাংশ।