টানাপোড়েন চলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার বাস্তবেই সাংসদ শিশির অধিকারীকে সমন পাঠালো লোকসভায় প্রিভিলেজ কমিটি (Lok Sabha Privileges Committee)। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের জন্য একাধিকবার দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একটানা সেই কাজে লেগেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে শিশির অধিকারীকে।
এই বিষয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তিনি শিশির অধিকারীর চিঠির উত্তর দেওয়া নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যত দ্রুত সম্ভব শিশিরবাবুর সদস্যপদ খারিজ করার আবেদনও জানান সুদীপবাবু। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ২টি শুনানি হয়েছে। তবে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) উপস্থিত থাকলেও, শিশির অধিকারী ছিলেন না। সেক্ষেত্রে আগামী ১২ তারিখ শিশির অধিকারী থাকবেন বলেই আশা করছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে এই বিষয়ে সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) জানিয়েছেন, তিনি দিল্লি যাবেন কিনা তা নির্ভর করছে চিকিৎসকের ওপরে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বেঁচে আছি। প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। তাঁরা অনুমতি দিলেই নয়াদিল্লি যেতে পারব। আর না হলে পারব না।'
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভামঞ্চে দেখা যায় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তখনও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ ছাড়েননি। এরপরই শিশিরের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে শুরু টানাপোড়েন। সেক্ষেত্রে দেখা যাক বাস্তবেই শিশির অধিকারীকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি।
আরও পড়ুন - গৃহবধূ ও শিশুর মৃত্যু ডেঙ্গিতে, একদিনেই রাজ্যে আক্রান্ত ৮০০ ছাড়াল