করোনাকে হার মানালেন ১০০ বছরের ভবতারিণী সামন্ত। দিন কয়েক হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শনিবার তিনি সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেলেন। তাঁকে হাসপাতাল সম্বর্ধনা দিল।
দিন কয়েকের মধ্যেই তিনি ১০০ বছর পেরোবেন। তাঁর এই লড়াই অনেককে অনুপ্রেরণা দেবে, সন্দেহ নেই। ইচ্ছেশক্তির জোরে মানুষ যে অনেক কিছু করে নিতে পারে, সে কথাই ফের জানিয়ে গেলেন তিনি। বার বার মনে পড়ে যাবে, বয়স, সে তো সংখ্যা মাত্র প্রবাদটি। করোনাকে হেলায় হারিয়ে তিনি চললেন বাড়ি। যাওয়ার আগে বলে গেলেন সেখানে তাঁর দারুণ যত্ন করা হয়েছে।
তিনি ভর্তি ছিলেন হাওড়ার সঞ্জীবন হাসপাতালে। তাঁর বাড়ি বাগনানের হরপে। নভেম্ব মাসের শেষ দিকে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। আর তার পরের দিন তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর শরীর খারাপ হয়েছিল। জ্বর, সর্দি কাশি হয়। তখন তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে আনা হয় সঞ্জীবন হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত সাড়ে সাত মাসে ৯০ বছরের বেশি ৭০ জনকে করোনা থেকে সারিয়ে তোলা হয়। দুসপ্তাহ সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলেছে।
সেখানকার চিকিৎসকের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভবতারিণী দেবী। তিনি জানান, সেখানকার চিকিৎসকেরা খুব ভাল। তাঁরা সারিয়ে তুলেছেন। বাড়ি যেতে চাই।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে সারা দুনিয়া চিন্তিত। কবে টিকা আসবে, সে ব্য়াপারে কোনও নিশ্চয়তা নেই। অনেক দেশই দাবি করছে, টিকা তৈরির কাজে তারা সাফল্য পেয়েছে। ভারতও এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ দেশেও টিকা তৈরির ব্য়াপারে আশাবাদী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, এ দেশে করোনায় মৃতদের ৪০ শতাংশের বয়স ৬০-এর ওপরে। আর সেখানে ১০০-র ভবতারিণী দেবীর লড়াই সবাইকে প্রেরণা দেবে। তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছাড়ার আগে সম্বর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।