ফের তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোলমালের অভিযোগ। তবে বিজেপি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে দাবি। বীরভূমের মুক্তিনগরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তাদের দাবি, পাল্টা জবাবে পিছু হটেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত খয়রাশোল ব্লকের মুক্তিনগর গ্রামের ঘটনা। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত এক থেকে দেড়শো দুষ্কৃতী হামলা চালায়।
এমনই অভিযোগ করেছে বিজেপি। এর পাশাপাশি বোমাবাজি এবং এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া হয়। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে 'পরিবারতন্ত্র'এর জয়জয়কার! বলছে ভোটের ফল
জানা গিয়েছে, একজোট ওই গ্রামের বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। দুষ্কৃতীদের কয়েকজন পালাতে পারলেও সবাই পালাতে পারেনি। বাইকগুলি নিয়ে যেতে পারেনি। গ্রামের বাসিন্দারা বাইকগুলি ভাঙচুর করে।
এবং বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে বেধড়ক মারধর করে। মার খেয়ে কয়েকজন সিঁউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি। আহত আরও কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার সময় এক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী পালিয়ে যেতে গেলে তাকে পাচরা গ্রামের বাসিন্দারা ধরে ফেলে। তাকে মারধর করে হয় পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে থাকা সব জিনিস তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক গোলমাল, মারামারির ঘটনা ঘটছে। এই জেলায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর এর জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
তাঁরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ করার দরকার। বার বার বলা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এমন ঘটনা হবে না বলে পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। তবে তাতেও মানুষের মন থেকে ভয় কাটেনি।
অন্যদিকে, হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অবিলম্বে তা রুখতে রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। ভোট-পরবর্তী বাংলায় একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে।
কোথাও কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনা। তো আবার কোথাও বাড়ি ভাঙচুর, পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে।