scorecardresearch
 

নদীয়ার পলাশীপাড়ায় পুড়ল ৩ হাজার মুরগি! ক্ষতি ১০ লক্ষের

আগুনে সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি মুরগির খামার (Poultry farm)। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া (Nadia)-এর পলাশীপাড়া (Palashipara) থানার অন্তর্গত রুদ্রনগর মাঠপাড়া এলাকায়।

Advertisement
আগুনে পুড়ে গেল একটি মুরগির খামার। নদীয়ার পলাশীপাড়ায়। ছবি: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আগুনে পুড়ে গেল একটি মুরগির খামার। নদীয়ার পলাশীপাড়ায়। ছবি: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • আগুনে সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল মুরগির খামার
  • নদীয়ার পলাশীপাড়ায়
  • তিন হাজার মুরগি ছিল

আগুনে সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি মুরগির খামার (Poultry farm)। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া (Nadia)-এর পলাশীপাড়া (Palashipara) থানার অন্তর্গত রুদ্রনগর মাঠপাড়া এলাকায়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ বিশ্বাস খামারটি তৈরি করেছিলেন। তা প্রায় ১৬ বছর আগের ঘটনা। তিনি তখন থেকেই পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করে আসছেন। ফলে এই ব্য়বসায় তাঁর অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। তবে শনিবার রাতের ঘটনা তাঁর জীবন পুরোপুরি পাল্টে দিল।

ওইদিন রাত দুটো নাগাদ খামারে আগুন ধরে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন তিনি। খামারটি বাড়ির লাগোয়া। আগু দেখতে পেয়েই নেভাতে যান তিনি। হই-হল্লা জুড়ে দেন। চলে আসেন তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও। এর মাঝেই চলে এসেছেন তাঁর প্রতিবেশিরাও। সবাই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আগুন নেভানোর কাজ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় শুধুমাত্র পাখির খাবার রক্ষা করতে পেরেছেন। আর কিছু বাঁচাতে পারেননি। পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তাঁর তৈরি খামার। সম্পূর্ণ খামার ঘরটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চার দিন বয়সী মুরগির ছানা-সহ প্রায় তিন হাজার মুরগি ছিল ওই খামারটিতে। সব মারা গিয়েছে। জানিয়েছেন দীনেশবাবু। তবে প্রতিবেশীদের সাহায্য মেলায় ক্ষতি কিছুটা কমানো গিয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, শুধু যে তাঁর খামারে মুরগি মারা গিয়েছে, তা নয়। খামারের পরিকাঠামোও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাঁশ, টিন- সব প্রবল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে আনুমানিক দশ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে এই দিন জানান তিনি। সেই পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। তারপর আবার ব্যবসার কথা চিন্তা করতে পারবেন। বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি।

কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত নন। শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক ধারণা খামারের মালিক দীনেশ বিশ্বাস-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশে অভিযোগ জানানো হতে পারে। এখন সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। এদিন থেকেই সে কাজে লেগে পড়েছেন তিনি। পুড়ে যাওয়া জিনিস সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি।

Advertisement

Advertisement