BJP-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন একুশের নির্বাচনের BJP প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, BJP-তে কাজের লোক কম। টাকা চাওয়ার লোক বেশি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বলেন উত্তরপাড়ার এই প্রার্থী। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি ফের 'ঘর ওয়াপসি' করছেন প্রবীর ঘোষাল? এই কানাঘুষোও শুরু হয়।
আরও পড়ুন : ১ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে স্টুডেন্টস ডে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ঘটনার সূত্রপাত প্রবীর ঘোষালের একটি লেখা নিয়ে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় বিভাগে BJP নিয়ে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেন তিনি। তারপরই জল্পনা শুরু হয়, শীঘ্রই ফের পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরে যাবেন তিনি। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেও BJP-র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন।
কী কী বলেন প্রবীর ?
এদিন প্রবীর ঘোষাল বলেন, 'ভোটের পর আমাকে দুখানা মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। নেতাদের কেউ যোগাযোগ করেন না। ফোনও করেন না। আমি এভাবেই আছি। দলের নেতৃত্বের তরফে আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করা হয় না। পার্টির যারা হোল টাইমার তাঁরা ফোন করে মিটিংয়ে যোগ দিতে বলেছেন কয়েকবার। '
আরও পড়ুন : নারদ কাণ্ডে অন্তর্বর্তী জামিন ববি-মদন-শোভনের
BJP-তে আমি আছি কিনা জানি না
BJP-র টিকিটে লড়লেও ওই দলে থাকা মুশকিল বলে জানান প্রবীর ঘোষাল। বলেন, 'ভোট চলাকালীনও আমি ২ বার সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, লড়েছি। ওই দলে যোগ দেওয়ার সময় আমাকে যে .স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, সেগুলি বাস্তবায়িত হবে না। হয়নিও। আমি ওই দলে গিয়ে হতাশ হয়েছি। BJP-কোনও রাজনৈতিক দল বলে আমি মনেই করি না। আমি এখন BJP-তে আদৌ আছি কি না নিজেই জানি না। মানসিকভাবে তো নেই। ওদের ভিতরটা এত নড়বড়ে যে নরক গুলজার শব্দটা প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছি।'
আরও পড়ুন : মায়ের বুকের দুধের রং হঠাৎ গোলাপি, ভিডিও শেয়ার করলেন মহিলা
তৃণমূলে ফিরবেন ?
প্রবীর ঘোষালের কথায়, 'BJP-তে মানসিকভাবে নেই। তৃণমূলেও যায়নি। এখন লেখালেখি নিয়ে ভালো আছি। সময় ঠিক করব রাজনীতিতে থাকব কি না। তৃণমূলে কেউ ডাকেনি আমাকে। ডাকলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব। এখন সেই সব নিয়ে ভাবছি না। কাজ করছি। মানুষের কাজ করতে ভালোবাসি। আমার যখন মাতৃবিয়োগ হয়েছিল সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, BJP-র স্থানীয় নেতা ছাড়া কোনও বড় মাপের নেতা আমার খোঁজ নেননি।'